শেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রামে হাতির তাণ্ডব
ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা শেরপুরের একটি গ্রামে আবার তাণ্ডব চালিয়েছে বুনো হাতির পাল।
গতকাল শুক্রবার রাতে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামে হাতির পাল এই তাণ্ডব চালায়।
হাতির পালের আক্রমণে গ্রামটির সবজি ও নারিকেল বাগান এবং বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান জানান, শুক্রবার রাতে ৪০ থেকে ৫০টি হাতির একটি পাল কালাকুমা গ্রামের কৃষকদের সবজি বাগান ও বোরো ধানের ক্ষতি করেছে। তবে এখন হাতির পালটি গ্রামবাসীর তাড়ায় ভারতের মেঘালয় অংশের পাহাড়ের চলে গেছে।
কালাকুমা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাজাহান আলী ও বাবু মিয়া জানান, ভারতের মেঘালয়ের বারেঙ্গাপাড়া ঝালোপাড়া পাহাড় থেকে ভোগাই নদীর তীর ধরে হাতির পাল নেমে আসে। সেগুলো রাতের সবজি ও ধানক্ষেত খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে।
সবজিচাষি আবু সামা বলেন, ‘শুক্কুরবার সইন্ধ্যার পরে ৪০ থাইকা ৫০টা হাতির দল আমগর গ্রামে নামে। রাইতে আমার ৩৩ শতাংশ বাইগুনের ক্ষেতসহ এলাকার এক কুর (একর) বোরো ক্ষেত খাইয়া ফালাইছে। পরে গেরামের সবাই মিইলা মশাল জ্বালাইয়া শেষ রাইতের দিহে হাতি তাড়াইছি।’
আবু সামার মতো অনেকেরই সবজিবাগান, নারকেল বাগান ও ধানের ক্ষতি করেছে হাতির পাল।
এ বিষয়ে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালাতে রাতেই কেরোসিন তেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টা ইউএনওকে জানানো হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ইউএনও জানান, হাতির আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ই্উপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতেও বলা হয়েছে। নিরূপণের পর ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করা হবে।