ছোট নৌকায় করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখলেন ডিসি
অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির ধান এখনো পানির নিচে আছে। আজ বুধবার দুপুরে ছোট নৌকায় করে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ধানশাইল পরিদর্শন করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।
গত ২২ এপ্রিল অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল, ঝিনাইগাতী সদর, মালিঝিকান্দা ও হাতিবান্ধা এই চারটি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সব ইউনিয়নে প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কোরবান আলী জানান, দুদিন আগেও প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির ধান পানির নিচে ছিল। কিন্তু আজ অনেক জায়গার পানি নেমে গেছে। অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে আছে। আগামী দুই দিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আজ নৌকায় করে ধানশাইল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাইলচা বিল, সোনাই বিল, ধলি বিল, গজারিমারি বিল, উত্তর কান্দুলী, কান্দুলী মাঝপাড়া, দক্ষিণ কান্দুলী ও বাঘেরভিটা এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি ওইএলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় কৃষক বারেক মিয়া ও আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের চার একরের অধিক পরিমাণ জমির আধা পাকা বোরো ধান এখনো পানির নিচে।
মাছ চাষি মালেক ও রশিদ জানান, তাদের চার একর প্রকল্পের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা শোনেন এবং তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্যের আশ্বাসও দেন।
এ সময় ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ জেড এম শরীফ হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা কোরবান আলী, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।