নরসিংদীর অভিযান নিয়ে যা বললেন র্যাবের মুফতি মাহমুদ

নরসিংদীর শহরতলির গাবতলী উত্তরপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটির ভেতরে অবস্থান করা পাঁচ যুবক আত্মসমর্পণ করেছেন।
আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে পরপর পাঁচ যুবককে এই বাড়ি থেকে বের করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মাইক্রোবাসে তুলতে দেখা যায়।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে গাবতলী উত্তরপাড়া এলাকায় এক দুবাই প্রবাসীর বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব-১১-এর একটি দল।
নরসিংদীর ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘যারা ভেতরে ছিল, তাদের আত্মসমপর্ণ করানোই ছিল আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। যদি আত্মসমপর্ণ করে সেটি সবচেয়ে ভালো হয়, আদারওয়াইজ (অন্যথায়) অন্য অপারেশন যেগুলো আছে, সেগুলোর প্রস্তুতি নিতে হতো।’
‘সে ক্ষেত্রে আমরা ভোরেই কাজ করেছি, সকালে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়েছে। তারা আত্মসমপর্ণ করার জন্য রাজি হয়। একে একে পাঁচজন বের হয়ে এসেছে। তাদের আপাতত আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
র্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘পাঁচজনের নাম পেয়েছি, কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ডকুমেন্টগুলো দিয়েছিল সেগুলো ভেরিফিকেশনের (যাচাই-বাছাই) পর আসলে কনফার্ম (নিশ্চিত) হওয়া সম্ভব হবে।’
‘বাসা মূলত নিয়েছিল এ মাসের ৩ তারিখে। তারা বলেছিল, চার থেকে পাঁচজন থাকবে। কারা কারা থাকবে, তা-ও সুনির্দিষ্ট করে বলেছিল। যারা আত্মসমপর্ণ করেছে এবং অন্য যেসব তথ্য আমরা পেয়েছি, তার মধ্যে দেখলাম নতুন আরো কিছু ফেস (মুখ) তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, বলেন মুফতি মাহমুদ।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, ‘বাহ্যিকভাবে আমরা এক রুম সার্চ করেছি, সেখানে অস্ত্র-গোলাবারুদ কিছু পাওয়া যায়নি। বাকি রুমটাও সার্চ করা হচ্ছে।’
স্থানীয় লোকজন জানান, ঘেরাও করা ওই বাড়ির মালিকের নাম মঈন উদ্দিন ওরফে মঈন আহমেদ। তিনি দুবাইয়ে থাকেন। বাড়িটিতে তাঁর পরিবারের কেউ থাকেন না।
র্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঈন উদ্দিনের বাড়ির কাছে নরসিংদী জামেয়া কাশেমিয়া মাদ্রাসা। সালাউদ্দিন নামের ওই মাদ্রাসার কামিল শ্রেণির একজন ছাত্র পরিচয় দিয়ে চলতি মাসের ৩ তারিখ মঈন উদ্দিনের বাড়িটি ভাড়া নেন। এরপর ওই বাড়িতে সালাউদ্দিন চার থেকে পাঁচজন নিয়ে সেখানে থাকতেন।