‘কঠিন সময়ে জিয়াউর রহমানের আদর্শই বিএনপির আশ্রয়’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ। বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনায় বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনে তা অনুকরণীয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। বাহিনীতে সফলতার স্বাক্ষর, ’৭১-এ মেজর হিসেবে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্বদান ও বীরউত্তম খেতাব—সব অর্জনই জিয়াউর রহমানকে বাহিনী ও দেশ-বিদেশে পরিচিতি দেয় চৌকস ও সাহসী সেনা কর্মকর্তা হিসেবে।
তারপর ’৭৫-এর ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হন ’৭৭-এর ২১ এপ্রিল।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাহসী ভূমিকায় বদলাতে শুরু করে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা। প্রশংসিত হয় তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচি। দেশে ফিরিয়ে আনেন বহুদলীয় গণতন্ত্র।
১৯৩৬ সালের আজকের এই দিনে বগুড়ার বাগমাড়িতে জন্ম নেওয়া জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পান মাত্র চার বছর। বিপথগামী একদল সেনাসদস্যের হাতে ’৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শহীদ হন জিয়াউর রহমান।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতির জীবন, কর্ম ও আদর্শের মূল্যায়ন করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নামের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারা, তার ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এই মানুষটি যদি জন্মগ্রহণ না করতেন, তাহলে বাংলাদেশ অনেক কিছুই হারাত। তিনি অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন। আমাদের রাজনীতিতে সততার এ রকম দৃষ্টান্ত বিরল।’
অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ মনে করেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনকারী দলটিকে সময়ের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করতে পারে দলের প্রতিষ্ঠাতার মূলমন্ত্র। তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের চলার পথ চিরকাল কুসুমাস্তীর্ণ থাকে না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাধা আসে, বিঘ্ন আসে—সেগুলোকে অতিক্রম করেই, লড়াই করেই একটি রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে যেতে হয়। এবং সেই হিসেবে বলব, এই কঠিন সময়েও বিএনপিকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং জিয়াউর রহমানের আদর্শের কাছে ফেরত যেতে হবে।’