১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি
মাঠপর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ রোববার রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৩০০ আসনের প্রার্থীরা নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পুলিশ ধানের শীষের প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের শাসাচ্ছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা গুলি করছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসাচ্ছে। গায়েবি মামলায় প্রার্থীসহ কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় মাঠ পর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।
ড. কামাল অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। এইভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আশঙ্কা থেকেই যায় ভোটের দিন কি হবে?’
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। আপনারা সবাই জনগণের হয়ে পাহারা দেবেন।’
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘আশঙ্কা তো আছেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা। তবে জনগণ আমাদের সাথে আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।