সন্ত্রাসী হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতাকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয়জনসহ সাতজন নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের মান্দারীর রতনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহজাহান খান।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন—একই পরিবারের সদস্য অটোরিকশার যাত্রী শাহ আলম (৫০), তাঁর স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫), নাছিমার বোন রোকেয়া বেগম (৩৫), নাছিমার মা শামছুন নাহার (৬০), রোকেয়ার ছেলে রুবেল (১১), শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির ছেলে অমিত (৮) ও আটোরিকশাচালক নুরু। তাঁরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জগদীশপুর এলাকার বাসিন্দা।

পরিদর্শক আরো জানান, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁদের লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

স্বজনরা জানান, নিহত শাহ আলমের ছেলে চন্দ্রগঞ্জ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সহসভাপতি নাদিম মাহমুদ অন্তরকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরের সাদারঘর এলাকায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করে। এরপর তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নাদিমকে দেখতে বেগমগঞ্জ থেকে পরিবারের লোকজন অটোরিকশায় করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালাক মো. আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।