নাসায় যাচ্ছে বাংলার তিন কিশোর
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসার গবেষণা ও মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র কেনেডি স্পেস সেন্টারে যাচ্ছে বাংলাদেশের তিন কিশোর। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই তিনজন হলো সেন্ট যোসেফ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সাদীদ, সাকীব ও লাবিব। কেনেডি স্পেস সেন্টারে আগামী ৯ থেকে ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ‘ইনোভেশন সামিট’ নামের একটি সম্মেলনে অংশ নেবে তারা।
বিদ্যালয়ের ফিজিক্স ল্যাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের উপমহাব্যবস্থাপক (ব্র্যান্ড মার্কেটিং) শফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন। তাদের সার্বিক সহায়তা করবে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।
শফিকুল ইসলাম বলেন, “ফার্ম ফ্রেশ আকিজ গ্রুপের একটা ব্র্যান্ড, যার মূল স্লোগানই হচ্ছে- ‘ফার্ম ফ্রেশ খাও, এগিয়ে যাও।’ এই খুদে বিজ্ঞানীদের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়কে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ফার্ম ফ্রেশ এ দেশের সম্পৃক্ততা চেয়েছে। ফার্ম ফ্রেশ আশা করে এই খুদে বিজ্ঞানীরা বাস্তবিকই ফাইনাল কম্পিটিশনে (প্রতিযোগিতায়) বিজয়ী হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।”
স্বল্প জ্বালানিতে কীভাবে উড়োজাহাজ চালানো যায় এবং এটিকে কীভাবে পরিবেশবান্ধব করা যায়, তা নিয়ে কাজ করেছে খুদে এই বিজ্ঞানীরা। ১৭৪টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রথম ১০টি দলে স্থান করে নেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে তারা।
নিজেদের প্রকল্প সম্বন্ধে সেন্ট যোসেফের ছাত্র সাদীদ বলেছে, ‘আমাদের প্রজেক্টের মূল কনসেপ্ট (ধারণা বা বিষয়) হলো বর্তমানে এরোপ্লেন (উড়োজাহাজ) এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি (শিল্প) একটি বিরাট অংশ পৃথিবীর ইকোনমির (অর্থনীতি) জন্য। পৃথিবীর এনভায়রনমেন্টে (পরিবেশ) এটা একটা বিরাট ইমপ্যাক্ট (প্রভাব) ফেলে। এটা সবচেয়ে রিফাইন্ড (পরিশোধিত) ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে পরিচিত। সবচেয়ে কম এয়ার পলিউশন (বায়ুদূষণ) করে। সে আরো বলেছে, ‘আমরা ফুয়েল কনজাম্পশন (জ্বালানি খরচ) কমানোর জন্য এর ওপর ফোকাস (দৃষ্টি দেওয়া) করি।’