মাদ্রিদ-ডার্বিতে আবার জয়বঞ্চিত রিয়াল
নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে আরো একটি ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকল ইউরোপের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। আতলেতিকোর মাঠ ভিসেন্তে ক্যালদেরনে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে মাদ্রিদের এ দুই দল। সেমিফাইনালের টিকেট কে পাচ্ছে, তা নির্ধারণ হবে ২২ এপ্রিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগের খেলায়।
চ্যাম্পিয়নস লিগের অপর কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠে ফরাসি ক্লাব মোনাকোকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ইতালিয়ান লিগজয়ী জুভেন্টাস। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন আরতুরো ভিদাল।
গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আতলেতিকোকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দশমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল রিয়াল। আদর করে যেটাকে তারা ডেকেছিল ‘লা ডেসিমা’ বলে। কিন্তু তার পর থেকে আতলেতিকো যেন পরিণত হয়েছে দুর্বোধ্য বাধায়। এ নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচ নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে জয় পেল না কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। আর এবারের মৌসুমে আতলেতিকোর মাঠে একটিও গোল করতে পারল না চতুর্থবারের মতো। সাত ম্যাচের মধ্যে রিয়াল হারের মুখ দেখেছে চারটিতে।
মঙ্গলবার প্রথমার্ধের খেলায় বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল রিয়াল। কিন্তু গ্যারেথ বেল, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, হামেস রদ্রিগেজের সেসব গোলচেষ্টা রুখে দিয়েছেন আতলেতিকোর গোলরক্ষক জান ওবলাক।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় উত্তাপ ছড়িয়েছিলেন রিয়ালের ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল ও আতলেতিকোর ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে মানজুকিচকে ফাউল করলেও কারভাহালকে কোনো শাস্তি দেননি রেফারি। শেষ পর্যায়ে রিয়ালের তারকা গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসও দারুণভাবে রুখে দিয়েছেন আতলেতিকোর মিডফিল্ডার মারিও সুয়ারেজের গোলচেষ্টা।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও গোল না পাওয়ায় হতাশ রিয়াল কোচ আনচেলত্তি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, প্রথমার্ধে আমরা গোল করতে পারতাম। প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সটা নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে। সেটা ছিল দারুণ। দ্বিতীয়ার্ধে আতলেতিকো অনেক বেশি চাপ তৈরি করেছিল।’ এখন রিয়াল দ্বিতীয় লেগে আতলেতিকো-বাধা পেরোতে পারবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। আনচেলত্তি অবশ্য আশাবাদী যে দ্বিতীয় লেগের ফল তাদের পক্ষেই যাবে, ‘এ ম্যাচের ফলটা ভালো হয়নি। কিন্তু ফিরতি লেগে যে আমরা ভালো করব, সেই আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। বিশেষত, প্রথমার্ধের খেলা দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে।’