রিয়াদ দূতাবাসে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালিত
যথাযথ মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এ সময় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার অভিবাসীও উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এরপর রিয়াদে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও স্থানীয় প্রবাসীরাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজনও করা হয়। আলোচনার শুরুতে শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রিয়াদ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির পিতার পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে পড়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।’
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরার এবং
উপ-মিশন প্রধান প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের উন্নয়নে এবং যেকোনো প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।
বৈধ ভিসা ও প্রবাসে কাজের অবস্থা ও বেতনসহ অন্যান্য সুবিধাদি জেনে বিদেশে আসার জন্য দেশের মানুষকে সচেতন করার আহ্বানও জানান নজরুল ইসলাম।
দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ পরিবারবর্গ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
এরপর দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।