সাংবাদিক কাকন রেজার মায়ের দাফন সম্পন্ন
সাংবাদিক ও কলাম লেখক কাকন রেজার মা জাহানারা রেজ্জাকের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বাদ আছর শেরপুর তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাঁকে শেরপুর চাপাতলী পৌর কবরস্থানে নাতি সাংবাদিক ফাগুন রেজার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
শনিবার সকালে শেরপুর জেলার প্রথম সংবাদপত্র ‘সাপ্তাহিক শেরপুর’ এর সম্পাদক ভাষাসৈনিক আব্দুর রেজ্জাকের স্ত্রী এবং সাংবাদিক ও কলাম লেখক কাকন রেজার মা জাহানারা রেজ্জাক শেরপুর জেলা শহরের রঘুনাথ বাজারস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। জেলায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এই সমাজসেবিকার মৃত্যুতে জেলা শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানাজায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল, শেরপুর পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আঁধার, আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, বিএমএর সাবেক সভাপতি ডা. সুরুজ্জামান, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের খান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোখলেছুর রহমান জীবন, সাবেক পৌর প্যানেল চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম, মরহুমার আত্মীয় কৃষকলীগ নেতা হোসেন আল ফারুক ডিউন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও ছেলে কাকন রেজা মরহুমার স্মৃতিচারণ করেন।
মরহুমা জাহানারা রেজ্জাক ছিলেন শেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার শেরপুর জেলার সাবেক চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
জাহানারা রেজ্জাকের প্রিয় নাতি প্রিয় ডটকমের ইংরেজি বিভাগের সহ-সম্পাদক সাংবাদিক ইহসান ইবনে রেজা ওরফে ফাগুন রেজা গত ২১ মে খুন হন। বার্ধক্যজনিত কারণে এমনিতেই তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। নাতি ফাগুন রেজা হত্যার ঘটনায় তিনি আরো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।