পাহাড়ধসে বান্দরবানে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত, আহত ৭
টানা বর্ষণে পাহাড়ধসে বান্দরবানে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। এ সময় সাতজন নারী-পুরুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলার রুমা, থানচি এবং লামা-সূয়ালক সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ রোববার অবিরাম বর্ষণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
অবিরাম বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আজ সকাল থেকেই বান্দরবান জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছে জেলা শহর।
বান্দরবান পৌরসভার কাউন্সিলর সৌরভ দাশ শেখর জানান, অব্যাহত ভারি বর্ষণে বনরূপা পাড়া, ক্যাচিংপাড়া এলাকায় পাহাড়ধসে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় বাপ্পী মল্লিকসহ সাতজন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম জানান, আজিজনগরে পাহাড়ধসে ১৫টি কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ধসে আজিজনগর-ছিউথতলী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিক মোহাম্মদ বাবুল ও অমল দাস জানান, পাহাড়ধসে পর্যটন স্পট নীলগিরি এবং রুমা-থানচি উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাহাড়ধসে সড়কে মাটি জমে যাওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকরাও নীলগিরি ভ্রমণে যেতে পারেননি।
বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের লম্বাঘোনা এলাকায় খালের ভাঙনে সড়কের স্থায়িত্ব এবং সৌন্দর্যবর্ধনে লাগানো ২৫টি গাছ উপড়ে পড়েছে।
এদিকে সন্ধ্যার সময়েও বান্দরবানে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবানের মৃত্তিকা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, গত দুই দিনে বান্দরবানে ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর রোববার এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। জীবনযাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।
জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী জানান, কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লোকজন নিরাপদ আশ্রয় সরে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পাহাড়ধসে রুমা-থানচি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের বসতি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।