মজার মানুষ মোহাম্মদ আলী : পেলে
দুজনই খেলার জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি। একজন ফুটবলের, অন্যজন বক্সিংয়ের। পেলে আর মোহাম্মদ আলীর নাম উচ্চারিত হলেই শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে ক্রীড়াপ্রেমীদের। দুই ‘গ্রেট’ মুখোমুখিও হয়েছেন বেশ কয়েকবার। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের জাতীয় দৈনিক গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে মজার স্মৃতিচারণ করেছেন পেলে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্ক কসমস দলে খেলার সময় যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ আলীর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন পেলে। সেসব দিনের কথা আজো ভুলতে পারেননি একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপজয়ী পেলে, ‘তিনি একদমই ভিন্ন রকম। অনেক হাসিখুশি। সব সময় মজা করতেন। আমরা একসঙ্গে খাবার খেতাম। কখনো কখনো তিনি আমাকে খেপাতেন এই বলে যে, তিনি আমার চেয়ে বেশি বিখ্যাত!’
ফুটবল তাঁকে এনে দিয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। তবে পেছনে ফিরে তাকালে ফুটবলের সৌজন্যে অন্য প্রাপ্তির আনন্দে পেলের মন ভরে ওঠে, ‘ফুটবল আমাকে অনেক কিংবদন্তি ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দিয়েছে। আফ্রিকায় আমি একবার নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। সান্নিধ্য পেয়েছি পাঁচজন পোপেরও।’
অনেকেই বর্তমান তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে তুলনা করেন সাবেক তারকাদের। মেসি-রোনালদোরা পেলে-ম্যারাডোনাদের সময়ে খেলা শুরু করলে এখনকার মতো খেলতে পারতেন কি না—এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খায় অনেক ফুটবলপ্রেমীর মনে। পেলে অবশ্য ব্যাপারটা এত জটিল করে দেখতে রাজি নন, ‘আমাদের সময়ের তুলনায় ফুটবলে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। খেলাটায় এখন টাকার ছড়াছড়ি। ফুটবলের প্রচার-প্রসার অনেক বেশি হচ্ছে। তবে একজন ভালো ফুটবলারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। বর্তমান সময়ে তরুণ ফুটবলাররা আমাদের চেয়ে বেশি প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামে। কারণ, তাদের এজেন্ট থাকে আর তাদের মাধ্যমে অনেক তথ্যও পেয়ে থাকে তারা। অতীতে আমরা এত সুযোগ-সুবিধা পেতাম না। তবে কোনো ভালো সুরকার বা সংগীতশিল্পীর সঙ্গেই শুধু ক্রীড়াবিদদের তুলনা করা উচিত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফ্র্যাঙ্ক সিনাত্রা দুর্দান্ত গায়ক ছিলেন। আর এখন থাকলেও দুর্দান্তই গাইতেন তিনি।’