ভীষণ দুঃসময়েও আশাবাদী মরিনিয়ো
২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত চেলসির কোচের দায়িত্বে দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন জোসে মরিনিয়ো। লন্ডনের ক্লাবটিকে জিতিয়েছিলেন দুটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও একটি এফএ কাপের শিরোপা। ২০১৩ সালে দ্বিতীয় দফা দায়িত্ব নিয়েও চেলসিকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অধীনে গত মৌসুমে পঞ্চমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছিল ‘ব্লুজ’ নামে পরিচিত দলটি।
কিন্তু এবারের মৌসুমে ভীষণ দুরবস্থা মরিনিয়োর দলের। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ১১ ম্যাচের ছয়টিতেই হার চেলসিকে নামিয়ে দিয়েছে পয়েন্ট তালিকার ১৫তম অবস্থানে। বিদায় নিয়েছে লিগ কাপের চতুর্থ রাউন্ড থেকেও। একের পর এক ব্যর্থতায় মরিনিয়োর বরখাস্তের দাবিতে সোচ্চার বহু চেলসি-সমর্থক। তবে মরিনিয়ো চাকরি হারানো নিয়ে শঙ্কিত নন। এই পর্তুগিজ কোচের আশা, ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে সময় দেওয়া হবে।
মরিনিয়ো প্রথমবার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দীর্ঘদিন লিগ শিরোপা বঞ্চিত ছিল চেলসি। ২০০৪-৫ মৌসুমে ৫০ বছর পর চেলসি সমর্থকদের শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচ। পরের মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা গিয়েছিল স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। ২০০৬-০৭ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে না পারলেও চেলসিকে লিগ কাপ ও এফএ কাপের শিরোপা জিতিয়েছিলেন মরিনিয়ো।
গত মৌসুমেও চেলসি ভেসেছিল প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের আনন্দে। যাঁর হাত ধরে এত সাফল্য এসেছে, সেই মরিনিয়োকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিশ্চয়ই সহজ হবে না চেলসি কর্মকর্তাদের জন্য। তেমন কিছু সহসা ঘটছে না বলে জানিয়েছেন মরিনিয়োও। শনিবার লিভারপুলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ‘না, আমাকে চাকরিচ্যুত করা হবে না।’ চেলসির মালিক রোমান আব্রাহিমোভিচ তাঁকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আরো সময় দেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবেও ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন মরিনিয়ো।
তবে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হবে না মরিনিয়ো আর তাঁর দলের জন্য। লিগ শিরোপা লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১১ ম্যাচে মাত্র তিনটি জয় পাওয়া চেলসির সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে ১৪ পয়েন্টে।