সিরাজদিখানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আজ শনিবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
হাতাহাতি ও লাঠিপেটায় দুই পক্ষের ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ইমরান, জাবেদ, মানিক, জাফর, অনু ও বাদশাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন। ওই কমিটির সভাপতি করা হয় ধীরন কুদ্দুছকে। সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় সোহেল আহমেদকে। এতে একপক্ষের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন।
এদিকে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেল ৪টায় সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সভা ডাকে উপজলা বিএনপির দুই পক্ষ। ওই সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা এসে ভিড় জমান। একপর্যায়ে উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে তারা হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সিরাজদিখান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই সভা করার ঘোষণা দিই। অপর পক্ষ কাউন্টার দিতে এলে আমাদের মধ্য কথাকাটাকাটি হলে পুলিশ সুযোগটা কাজ লাগায়। সভা করা হয়নি।’
সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, ‘সংহতি দিবসে আমরা সভা ডেকেছি। অপর দিকে বিতর্কিত পকেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন লোকবল নিয়ে সভা করার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হলে পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে সভা পণ্ড করে দেয়।’
লাঠিপেটা করার কথা অস্বীকার করে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা লাঠিপেটা করিনি। বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে তারা আর সভা করেনি।’