পুরো পাঠ্যক্রম নিয়ে নতুন করে ভাবছি : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গঠন করেছিলেন কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন। তার বাস্তবায়ন কিন্তু আমরা এখনও করতে পারিনি। আমরা যে শিক্ষানীতি করেছি সেটিও ১০ বছরের বেশি হয়ে গেল। এর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমরা পুরো পাঠ্যক্রম নিয়ে নতুন করে ভাবছি।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন শুধু জ্ঞান নয়, জ্ঞানের সঙ্গে দক্ষতা, তার সঙ্গে সঠিক মানসিকতা, সবকিছুকেই আমাদের পাঠ্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা সেজন্যই সুনাগরিক ও বিশ্বনাগরিক গড়ার জন্য কাজ করছি। কাজটি রাতারাতি নিশ্চয়ই হবে না, সময় নেবে। তবে কাজের সূচনা হয়ে গেছে।’
আজ বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সাফল্য ও সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত একই সুতোয় গাঁথা হবে আমাদের শিক্ষাক্রমকে। আমাদের ইতিহাসের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, বিজ্ঞান ও মানবিকতায় সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা যেন সোনার মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারে। সমাজ পরিবর্তনে আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
আমাদের ধর্মীয় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেখানে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তারা যেন মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো করেই শিখতে পারে। সুস্থ, স্বাভাবিক পরিবেশ যেন তারা যায়। তারাও যেন কর্মমুখী শিক্ষায় নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে পারে। পরনির্ভরশীল যেন তারা না হয়। সেজন্যই আমাদের লক্ষ্য থাকতে হবে এক ও অভিন্ন।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সম্মানিত আলোচক ছিলেন নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক স্বদেশ রায়।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই যেখানে মৌলবাদ থাকবে না। সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা পরিবার যদি সেই ন্যাশনাল সোসাইটি তৈরি করতে পারে তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের জাতি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব যতোদিন থাকবে বঙ্গবন্ধুই হবেন প্রধান আদর্শ এবং আশ্রয়স্থল। মানবিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, যৌক্তিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ সেই আদর্শকে ধারণ করেই আমরা আগামীর প্রজন্মকে তৈরি করব।’