দেশে নতুন করে কৃষিবিপ্লব ঘটবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘খাদ্যের চাহিদা মেটাতে আমাদের বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছে। দেশে অনেক উন্নত জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়েছে। ব্রি-৮১, ব্রি-৮৯ ও ব্রি-৯২ জাতের ধানের ফলন অনেক বেশি। এ জাতগুলো চাষের মাধ্যমে দেশে নতুন করে সবুজ বিপ্লব ঘটবে। দেশে খাদ্য উৎপাদন অনেকগুণ বাড়বে ও ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট হবে না।’
কৃষিমন্ত্রী আজ শনিবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় এক কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ব্রি-৮৯ ও ব্রি-৯২ চাষের মাধ্যমে উন্নত বোরো ধান ও আমন ধান চাষ করে পতিত সময়ে সরিষা করা যাবে। প্রতিবছর আমাদেরকে বিদেশ থেকে ১৫-২০ হাজার কোটি টাকার ভোজ্য তেল আমদানি করতে হয়। এ জাত দুটি চাষ করলে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা উৎপাদন করা যাবে। ফলে সরিষার উৎপাদন বাড়বে ও তেল আমদানির পরিমাণ কমবে।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গণি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ব্রির তথ্যমতে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রোপণকৃত ব্রি-৮৯ ও ব্রি-৯২ আজ কাটা হয়। আগে এই এলাকায় ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ আবাদ করা হতো। এ দুটি জাতের ধানের ফলন ছিল বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ। ব্রি-৮৯ ও ব্রি-৯২ ধানের ফলন পাওয়া যায় বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ।