শিশুটি তার মায়ের কাছে থাকবে : হাইকোর্ট
দশ বছরের কন্যা সন্তানকে পিতার জিম্মায় দিতে নিম্ন আদালতের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই শিশুকে মায়ের কাছে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে বাবা চাইলে সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে শিশুর মায়ের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আইনজীবী ফখরুল ইসলাম জানান, ‘শিশুটি একটি স্কুলে পড়ে। শিশুটি তার মায়ের কাছে ছিল ও আছে। হাইকোর্টের আদেশের ফলে শিশুটি তার মায়ের কাছেই থাকবে।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী দু’জনই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষার্থী। ২০০৭ সালে তারা বিয়ে করেন। ২০১১ সালে তাদের কন্যা সন্তান হয়। তার বয়স প্রায় দশ বছর। পড়ে স্কুলে। ২০১৯ সালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। মা থাকেন ধানমন্ডির হাজারীবাগে,বাবা থাকেন গাজীপুরে। শিশু সন্তান ছিল মায়ের কাছে। পরে বাবা মেয়েকে নিজের জিম্মায় নিতে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। আদালত শিশুটিকে প্রথমে মায়ের জিম্মায় রাখার আদেশ দেন গত ১৬ জুন।
পরে ৩০ জুন ওই আদেশ স্থগিত করে পারিবারিক আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ বলেন,আগামী ২১ দিন নাবালিকা পিতার হেফাজতে থাকবে। তার মধ্যে মায়ের হেফাজতে থাকবে শুক্র ও শনিবার। বাবা সন্তানের অনলাইনে স্কুলের ক্লাসের ব্যবস্থা করবেন। বাদী ও বিবাদী এবং তাদের পিতামাতার বাসার পরিবেশ দেখার জন্য,কার বাসায় কে থাকেন এবং উক্ত বিষয়ে সার্বিক প্রতিবেদনের জন্য ২১ দিনের মধ্যে হাজারীবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
নিম্ন আদালতের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন শিশুটির মা। শুনানি শেষে হাইকোর্ট পারিবারিক আদালতের আদেশ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেদেন। একইসঙ্গে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদালত খোলার পর বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য উপস্থাপন করতে আইনজীবীকে নির্দেশ দেন আদালত।