বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকির দায়ে সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল
জালিয়াতি করে এক কোটি ১০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৩৯ ট্রাক আঙুর, টমেটো ও আনারের চালান পাচার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বন্দর থেকে। আজ মঙ্গলবার সকালে জালিয়াতি ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল, যার এআইএন নম্বর-৬০১০৫০০১৩।
কাস্টমস সূত্র জানায়, গত শনিবার বন্ধের দিন ভারত থেকে ৩৯ ট্রাক আঙ্গুর, টমেটো ও আনার আমদানি করা হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। পণ্য চালানগুলো খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েল এন্টারপ্রাইজ। কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রয়েল এন্টারপ্রাইজ বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে ৩৯ ট্রাক আঙুর, টমেটো ও আনার বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান ও অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলামের যৌথ প্রচেষ্টায় ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব গতকাল সোমবার সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বাধ্য করা হয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে।
দুটি পণ্য চালানে কাস্টম নং বি/ই সি-৪৮৬৮৩ ও সি-৪৮৬৭০ সহ আটটি বি/ই বিপরীতে কোনো দলিলাদি কাস্টমস সিজিসি ৯-এ জমা না দিয়ে বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতি শনিবার বন্ধের দিন রয়েল এন্টারপ্রোইজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য পাচার করে থাকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে কাস্টম হাউসে।
রয়েল এন্টাপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ‘আমার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স রয়েল এন্টারপ্রাইজ বাতিল করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে ৩৯ ট্রাকের রাজস্ব পরের দিন পরিশোধ করা হয়েছে। পচনশীল পণ্য বিধায় ওই দিন রাজস্ব পরিশোধ করা হয়নি।’
বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জালিয়াতি করে বন্দর থেকে ৩৯ ট্রাক পণ্য বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রয়েল এন্টাপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।’