‘খালি’ সিরিঞ্জে মেডিকেলছাত্রীকে টিকা দেওয়ার অভিযোগ
এবার পাবনায় ‘খালি’ সিরিঞ্জে এক মেডিকেল ছাত্রীকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি নিয়ে শহরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাবা আব্দুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে সাবা মারিয়াম অন্তিকা ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল স্টুডেন্ট কোঠায় করোনার টিকা নিতে যায়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নার্স তাকে খালি সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে সুচ ফুটান। এতে তার শরীরে রক্ত বের হয়। ভ্যাকসিন না দিয়ে খালি সিরিঞ্জ ঢুকানোর প্রতিবাদ করলে কর্তব্যরত নার্স ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং পরে আমার মেয়েকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে শহরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।’
ওই শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল হান্নান আরও বলেন, ‘একজন মেডিকেল স্টুডেন্টের বেলায় যদি এ ঘটনা ঘটে। তবে গ্রামের সাধারণ মানুষের কি হবে? ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হবে।’
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন আব্দুল হান্নান।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কে এম আবু জাফর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। তবে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিদিন দুজন করে ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে খুব শিগগির তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’