ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টাউন খাল বাঁচাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী টাউন খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা এবং নৌকা চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠনের নেতারা। এ জন্য খালের উপর থাকা চারটি সাঁকোসহ অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবি করেন তাঁরা। নেতারা খালটি রক্ষার জন্য নিজেরাই সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান চালিয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল থেকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’-এর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী এই পরিচ্ছন্ন অভিযান চলানো হয়। টাউন খাল থানা ঘাটের পাশে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ‘নোঙর’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন শামস। নোঙর জেলা শাখার সভাপতি শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার মো. মনির হোসেন, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী টাউন খালটি দিন দিন দখল-দূষণের কারণে অস্তিত্ব হারিয়ে আজ বিলীন হওয়ার পথে। বিভিন্ন সময় খালটি পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। দিনের পর দিন খালটির বিভিন্ন অংশে দখলের প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এতে করে জেলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা খালটি এখন সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। তাই এই খালটিকে বাঁচাতে জনসচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি খালটির বিভিন্ন অংশ দখলমুক্ত করতে হবে। শুধু তাই নয়, এর নাব্যতা ফেরাতে দ্রুত সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় খালটি কেবল স্মৃতি হয়েই থেকে যাবে।
বক্তারা খালের বিভিন্ন অংশে থাকা অবৈধ সাঁকো অপসারণ করে নৌ চলাচলের ব্যবস্থার দাবি জানান। পরে উদ্যোক্তারা টাউন খালের আশপাশসহ বিভিন্ন অংশে পরিচ্ছন্ন অভিযান চালান। অভিযানে শহরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
টাউন খালটি তিতাস নদীর টানবাজার কান্দিপাড়া এলাকা থেকে সৃষ্টি হয়ে শহরের ভেতর দিয়ে গোকর্ণ ঘাট পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে ফের তিতাস নদীতেই মিলিত হয়েছে।