বান্দরবানে প্রচারে এগিয়ে আ. লীগ, এখনো নামেনি বিএনপি
বান্দরবান পৌরসভায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আর এখনো অভ্যন্তীরণ কোন্দল গোছাতে এবং নেতা-কর্মীদের অভিমান ভাঙাতে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা। প্রচারণার দৌড়ে পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টিও।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী মো. ইসলাম বেবী (নৌকা) নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারপাড়া ও জজকোর্ট এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোয়। সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান খোকন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী জোহরা বেগম চৌধুরী। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও।
আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী মো. ইসলাম বেবী বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণায় জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তাদের পাশে ছিলাম, পাশে থাকব। যত দিন সুস্থ থাকব মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বিপ্লব (লাঙ্গল) প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন সাত নম্বর ওয়ার্ডের আর্মিপাড়া, গোরস্তান মসজিদ এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে। জাতীয় পার্টির কোনো কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নেই। দলটির মেয়র পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডেই প্রচারণা প্রচারণা চলছে। আজ আর্মিপাড়া, মেম্বারপাড়াসহ আশপাশের এলাকাগুলো প্রচারণা চালিয়েছি।’
এদিকে, বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী মোহাম্মদ জাবেদ রেজা এখনো ঘর গোছাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দলীয় কোন্দল এবং নেতা-কর্মীদের অভিমান ভাঙাতে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণায় আজ মাঠে নামতে পারেননি। তবে বনরুপা পাড়ায় পৈত্রিক বাড়িতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এদিকে, শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহাবুবুর রহমান শামিমের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বান্দরবান বাজারের চৌধুরী মার্কেটস্থ দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সভা করেছেন। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিং প্রু জেরিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। সভায় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোচ ওসমান গনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাবুদ, মেয়র পদপ্রার্থী মোহাম্মদ জাবেদ রেজাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন না।
মোহাম্মদ জাবেদ রেজা বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণায় এখনো মাঠে নামা হয়নি। দলের শীর্ষ নেতারা এসেছেন আলাপ-আলোচনার পর আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কোমর বেঁধে প্রচারণা নামব।’
বিএনপির কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নির্বাচনী এলাকাগুলো চষে বেড়াচ্ছে। রাতদিন সমান তালে দৌড়াচ্ছে কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা হচ্ছে- ২৬ হাজার ৬৪৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৫০৭ এবং নারী ১১ হাজার ১৪০ জন ভোটার। ভোট যুদ্ধে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিন মেয়র পদপ্রার্থী। আর নয়টি ওয়ার্ডে ৩১ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনে সাতজন মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী।