বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন পাচার বন্ধ করতে হবে : আরিফ হাসান
দেশের বেসরকারি টেলিভিশন শিল্পকে রক্ষা করতে এই খাতকে ডিজিটালাইজেশন করা ও বিদেশি চ্যানেলে দেশের বিজ্ঞাপন পাচার বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটকোর সহসভাপতি আরিফ হাসান। এনটিভির সঙ্গে আলাপকালে দেশ টিভির নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স—অ্যাটকোর নবনির্বাচিত সহসভাপতি এসব কথা বলেন।
এনটিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আরিফ হাসান বলেন, করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিজ্ঞাপনের রেট বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যেভাবে বিজ্ঞাপনের মূল্য নিম্নমুখী করছে, অথচ সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। সুতরাং আমাদের বিজ্ঞাপনের দাম বাড়াতে হবে। ডিজিটালাইজেশন ও পে-চ্যানেল ছাড়া এই ইন্ডাস্ট্রির টিকে থাকা বহু কঠিন হয়ে পড়বে। এ জন্য সেট টপ বক্স জরুরি। একটি বক্সে একটি টিভিই চলবে।’
একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল ডাউনলিংকের ফি-তে সামঞ্জস্য আনা দরকার বলেও জানান অ্যাটকোর সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ (ভারত) যদি আমাদের তিন লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে, আমাদেরও তিন লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা উচিত। ওদের এতগুলো চ্যানেল আমাদের এখানে বিজ্ঞাপনে ভরপুর। ওদের ওইখানে আমাদের অন এয়ার করতে সাত কোটি রুপি লাগে, আমাদের দেশে ওরা কত লক্ষ টাকা দিয়ে প্রচার করছে? এই ভারসাম্যটা যদি দূর না করে, আমাদের বিদেশে গিয়ে প্রচার করাটা দুরূহ হয়ে যাবে।’
অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মানোন্নয়নের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন অ্যাটকোর সহসভাপতি।
গত ৩০ অক্টোবর অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স—অ্যাটকোর নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়। এতে আবারও সভাপতি নির্বাচিত হন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও সহসভাপতি পদ পান দেশ টিভির আরিফ হাসান। আর সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে মোজাম্মেল হক বাবুর স্থলাভিষিক্ত হন ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী। এনটিভির পরিচালক মোহাম্মদ আশফাক উদ্দিন আহমেদসহ আরও ১১ জন অ্যাটকোর পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন।
৬ নভেম্বর দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পান আরিফ হাসান। এর আগে তিনি দেশ টিভির ডিএমডি ছিলেন।
দেশ টিভির শুরু থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরিফ হাসান। তিনি রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাবা ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, পরে যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসরে যান।
বাবার চাকরির সুবাদের দেশের ১৭টি জেলায় বসবাস করেছে আরিফ হাসানের পরিবার। ফলে সেসব জায়গায় তাঁকে পড়াশোনা করতে হয়েছে।