ওমরাহ নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতির মুখে মক্কা-মদিনার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা
পবিত্র ওমরাহ পালন, মসজিদুল নববী জিয়ারত এবং ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় হোটেলসহ সব ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়বে। এতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।
সৌদি কর্মকর্তাদের বরাতে আরব নিউজের খবরেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। হোটেল, এয়ারলাইনস, বিভিন্ন ধরনের দোকান, খাবার হোটেল, ক্যাটারিং ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়ছে।
সৌদি নাগরিক, হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সৌদি সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই সংকট উত্তরণের এখন বিকল্প পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানালেন সৌদি কর্মকর্তারা।
স্থানীয় হজযাত্রীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে সৌদি সরকার।
মক্কা শিল্প ও বাণিজ্য চেম্বারের প্রধান আবদুল্লাহ ফিলালি বলেন, মক্কার হোটেল খাত একটি কঠিন মৌসুম পার করতে যাচ্ছে। শহরটিতে প্রায় এক হাজার ৩০০টি হোটেল রয়েছে। ওমরাহ পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে এসব হোটেলকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
ফিলালি বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে দুই শহরের হোটেল খাত মারাত্মক অর্থনৈতিক পরিণতি বরণ করতে যাচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা হলে হোটেল খাতকে ৪০ শতাংশ খেসারত দিতে হবে। মক্কা ও মদিনার আবাসন খাত পেশাগত সংকটে পড়তে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। সামনে পবিত্র মাস রমজান আসছে। ওই সময়টায় সব ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে করোনাভাইরাস থাকলে তাও সম্ভব নয়।
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা সম্পূর্ণ হজযাত্রীদের নিয়ে। এইভাবে নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকলে অনেক টাকার লোকসান গুনতে হবে।’
আরেক হোটেল ব্যবসায়ী আবুল বশর বলেন, ‘অনেক রিয়াল খরচ করে হোটেল ব্যবসায় এসেছি, আট-দশজন কর্মচারী তাঁদের বেতন, হোটেলের বার্ষিক ভাড়া সব মিলিয়ে অনেক লোকসানে পড়তে হবে। তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন সমস্ত বিপদ আপদ থেকে আমাদের রক্ষা করেন। আবারও স্বাভাবিক জীবনে সবাই ফিরে যেতে পারেন। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স কমে যাবে এবং এতে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’