করোনা কেড়ে নিল নিউইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদের প্রাণ
নিউইর্য়ক বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ (৬৬) করোনাভাইরাসে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে তিনি মারা যান।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত ৩১ মার্চ দুপুর ১২টায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কামাল আহমেদ। ওই হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায় বলে চিকিৎসকরা জানান। তিনি চিকিৎসকদের নীবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। দ্রুত তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
কামাল আহমেদ স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ভাইবোনদের মধ্যে কামাল আহমেদ সবার বড়। তাঁর পুরো পরিবারই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। কামাল আহমেদ নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করতেন।
কামাল আহমেদের গ্রামের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের বাউরভাগ গ্রামে। এবি মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক কামাল আহমেদ বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
এ ছাড়া কামাল আহমেদ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এবং অর্থায়নে অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয়প্রতিষ্ঠান দেশ-বিদেশে গড়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে নিউইয়র্ক প্রবাসী এবং বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুর রব মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কামাল আহমেদ ৫ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৪টায় নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আমরা বাংলাদেশ সোসাইটির পক্ষ থেকে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
এদিকে, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি স্থানীয় কমিউনিটির প্রিয়মুখ কামাল আহমেদের মৃত্যুতে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার, যা বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যায় চতুর্থ স্থানে থাকা জার্মানির চেয়েও অনেক বেশি এবং প্রায় ইতালির মোট সংখ্যার কাছকাছি।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৯ হাজার ৮৮৯ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ৭০৮ জন
করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৩৪৯ জন, ফ্রান্সে এক হাজার ৫৩ জন, স্পেনে ৭৪৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৭০৮ জন, ইতালিতে ৬৮১ জন
করোনাভাইরাসে ইতালিতে ১৫ হাজার ৩৯৫ জন, স্পেনে ১১ হাজার ৯৪৭; যুক্তরাষ্ট্রে আট হাজার ৮০২; ফ্রান্সে সাত হাজার ৫৬০, যুক্তরাজ্যে চার হাজার ৩১৩, চীনে তিন হাজার ৩২৯, ইরানে তিন হাজার ৪৫২, নেদারল্যান্ডসে এক হাজার ৬৫১, জার্মানিতে এক হাজার ৪৪৬, বেলজিয়ামে এক হাজার ২৮৩, তুরস্কে ৫০১, সুইডেনে ৩৭৩, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮৩, কানাডায় ২৩৩, ইন্দোনেশিয়ায় ১৯১, জাপানে ৮৪, ভারতে ৭৭, মালয়েশিয়ায় ৫৭, ইরাকে ৫৬, ইসরায়েলে ৪৬, অস্ট্রেলিয়ায় ৩৫, পাকিস্তানে ৪৫ ও সৌদি আরবে ২৯ জন মারা গেছেন