মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বিকেলে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস মিলনায়তনে শ্রম কাউন্সেলর (দ্বিতীয়) মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডলের পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম।
শুরুতেই জাতির জনক, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৫ আগস্টের কাল রাতের শহীদদের স্মরণে দোয়া পরিচালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর মাসুদ হোসেন।
মুজিব জন্মশতবর্ষ উদযাপন ও ক্ষণগণনা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন ডিফেন্স অ্যাডভাইজার কমোডর মুশতাক আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের উপহাইকমিশনার ও হেড অব চ্যান্সারি ওয়াহিদা আহমেদ।
দিবসটির তাৎপর্যের ওপর আলোচনায় হাইকমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, দিবসটি পালনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে না এলে বাংলাদেশের বিজয় অসম্পন্ন থেকে যেত। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয় সমগ্র বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের আশার প্রতীক ছিলেন। ফলে তাঁর মুক্তিতে মানবতা, স্বাধীনতা, স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মুক্তি ঘটেছিল। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরা হবে বিদেশিদের মধ্যে। মহান নেতার আদর্শে বিশ্ব অনুপ্রাণিত হবে।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে; যা ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে বর্ষব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে। এ ছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে; যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক। তাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠার জন্য যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বাণিজ্যিক কাউন্সেলর মো. রাজিবুল আহসান, পাসপোর্ট ও ভিসা কাউন্সেলর মো. মশিউর রহমান তালুকদার, প্রথম সচিব (পলিটিক্যাল) রুহুল আমিন।