মালয়েশিয়ায় ২০০ অবৈধ বাংলাদেশির স্পেশাল পাস সংগ্রহ
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরার জন্য সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমা ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইমিগ্রেশনগুলোতে ভিড় হওয়ায় কুয়ালালামপুর ও আশপাশের ইমিগ্রেশনগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করেও কুলানো যাচ্ছে না। আবার দু-একদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে অনেকের বিমান টিকেটের মেয়াদ।
এ অবস্থায় গতকাল শনিবার মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের তৎপরতায় প্রায় দুইশ বাংলাদেশি নাগরিকের স্পেশাল পাস সংগ্রহ করা হয়েছে। সকালে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন থেকে দুটি বাসে ৮৫ জনকে নিয়ে রওনা দেয় পেরাক ইমিগ্রেশনে এবং অপর দুটি বাস ৮৬ জনকে নিয়ে রওনা দেয় কুয়ানতান ইমিগ্রেশনে। ফ্রি বাস ও অনিশ্চয়তায় থাকা প্রবাসীরা এমন সেবা পেয়ে খুশি।
মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচির আওতায় ১ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু ৭০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে ইমিগ্রেশনের স্পেশাল পাস নিয়ে দেশে ফেরার সহজ সুযোগ নিতে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের শত শত নাগরিক ইমিগ্রেশনে যান। এভাবে শেষ তারিখ যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে, ততই ভিড় বাড়তে থাকে। ফলে স্পেশাল পাস পাওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে আসে। অনেকের ফ্লাইট ভ্রমণের তারিখ উত্তীর্ণ হওয়ার পথে।
এ অবস্থায় পুত্রজায়া ইমিগ্রেশনে অপেক্ষমাণ নাগরিকের মধ্যে হতাশা নেমে আসে। সে মুহূর্তে হাইকমিশনারের নির্দেশে কর্মকর্তারা ইমিগ্রেশনের সঙ্গে পরামর্শ করে ইপো পেরাক ও কুয়ানতান ইমিগ্রেশনে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করে।
অপেক্ষমাণদের মধ্য থেকে যাঁদের ফ্লাইট খুব কাছে, এমনদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। যাঁদের পাওয়া গেছে তাঁদের এবং পরদিন সকালে উপস্থিত যে কয়জনকে পাওয়া গেছে, তাঁদের নিয়ে চারটি বাস রওনা করে। এর মধ্যে দুটি বাস কুয়ানতান ইমিগ্রেশনে এবং অপর দুটি বাস পেরাক ইমিগ্রেশনে রওনা করে। একই দিন দুপুরে পৌঁছে যায় ইমিগ্রেশনে।
পেরাক টিমের সূত্রে জানা গেছে, আগের দিন ১০০ জনের জন্য ঠিক করা হলেও জরুরি ফ্লাই করতে হবে এমন ৮৫ জনকে পাওয়া গেছে। তাঁদের নিয়েই পেরাক ইমিগ্রেশনে স্পেশাল পাস সংগ্রহ করা হয়েছে।
কুয়ানতান টিম সূত্রে জানা গেছে, যাঁদের ফ্লাইট খুব কাছে এমন ৮৬ জনকে পাওয়া যায়। তাঁদের নিয়ে সকালে রওনা করে দুপুরে কুয়ানতান ইমিগ্রেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমাণ ১৭ জনকে পাওয়া যায়। তাঁদেরও যুক্ত করে মোট ১০৩ জনের স্পেশাল পাস সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁদের সবাইকে ফিরতি বাসে কুয়ালালামপুর পৌঁছে দেওয়া হয়।
পেরাক টিমে ছিলেন হাইকমিশনের দ্বিতীয় শ্রম সচিব ফরিদ আহমেদ এবং কুয়ানতান টিমে ছিলেন কাউন্সেলর শ্রম-২ মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল।