সংগীত-চিত্র ‘ফিরে এসো বঙ্গবন্ধু’র শুভ মুক্তি

Looks like you've blocked notifications!

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ‘এইচডি বাংলা’ ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংগীত-চিত্র ‘ফিরে এসো বঙ্গবন্ধু’ ডিজিটাল প্লাটফর্মে অবমুক্ত করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

গত রোববার জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবীর সভাপতিত্বে  এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রবাসের মাটিতে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘ফিরে এসো বঙ্গবন্ধু’ সংগীত-চিত্রটি বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে এক নতুন ভিন্নধর্মী অনন্য উপহার ও শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমরা অনেক গর্বিত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই সসংগীত-চিত্রটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সংগীত-চিত্রের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি আমরা অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

‘ফিরে এসো বঙ্গবন্ধু’র অন্যতম উদ্যোক্তা এইচডি বাংলার কর্ণধার সাইফুর রহমান ওসমানী জিতু তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের কঠোর পরিশ্রম এবং যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও সংগঠনের বিভিন্ন শাখাগুলোর পৃষ্ঠপোষকতার ফসল জাতির জনককে নিয়ে আজকের এই সংগীত-চিত্রের পূর্ণ রূপ।

স্বাগত বক্তব্যের পর পরেই কলকাতার স্বনামধন্য গীতিকার শুভদ্বীপ চক্রবর্তীর কথায় ও কলকাতার জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক চিরন্তন ব্যানার্জির সুরে নির্মিত ‘ফিরে এসো বঙ্গবন্ধু’ সংগীত-চিত্রটি সবার উপস্থিতিতে পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেরা কণ্ঠ তারকাদের অংশগ্রহণে ‘ফিরে এসো বঙ্গবন্ধু’ সংগীত-চিত্র দেখে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই অসাধারণ গানটি দেখে আমি সত্যি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ছিলাম। এই গানের যে সুর তা যেকোনো মানুষের মনকে আলোড়িত করবে। গানের কথায় বলা হয়েছে, ‘প্রাণের বন্ধু, মনের বন্ধু, বঙ্গবন্ধু তুমি’। সত্যি অসাধারণ, এই কথা আমার মনকে ছুঁয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনসুলেট নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল ডা. সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, বাংলাদেশ কনসুলেট লস অ্যাঞ্জেলেসের কনসাল জেনারেল তারেক মোহাম্মদ, বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. আমিনুর রহমান সুলতান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ফরাছত আলী, ফোবানা চেয়ারম্যান ও ইউএসএ কমিটি ফর সেকুলার অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, যুক্তরাজ্য থেকে সংযুক্ত ইউকে বিডি টিভির কর্ণধার মুকিস মন্সুর, বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক বেলাল বেগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা এম এ সালাম, কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়াঁ, সাধারণ সম্পাদক ফারহানা মীর ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার এলাহি,  সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সউদ চৌধুরী, ক্যালিফোর্নিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নজরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রানা মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বৃহত্তর ওয়াশিংটন শাখার সভাপতি দস্তগীর জাহাঙ্গীর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ পেনসিলভেনিয়ার সভাপতি আবু তাহের বীর বিক্রম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ মিশিগানের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আহমদ ও সদস্য লুতফুল নিয়ন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আটলান্টার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান ভুঁইয়া, ড. জিনাত নবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ আক্তারুল ইসলাম, প্রফেসর শাহাদাৎ হোসেন, পেনসিলভেনিয়া যুবলীগের সভাপতি আলিম উদ্দীন প্রমুখ।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাফায়েত চৌধুরী সংযুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া।