কানাডায় ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ
শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কানাডার আলবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬৭তম মাতৃভাষা দিবস ও ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস। শহরে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরির জন্য মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব এডমন্টন।
দুর পরবাস। কিন্তু বুকের চেতনা যে এক। তার আরো একবার প্রমাণ দিলেন কানাডার এডমন্ট প্রবাসী বাঙালীরা ।
শহীদ মিনার নেই। তবু দমিয়ে রাখা যায়নি ভাষা শহীদদের প্রতি এ সব প্রবাসীর ভালোবাসা-শ্রদ্ধা। কাঠ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা।
নতুন প্রজন্ম জানে না মাতৃভাষার অনেক ইতিহাস । তাইতো তাদের জন্য বিদেশ বিভূঁইয়ে আয়োজন প্রভাত ফেরির। কণ্ঠে ছিল সেই অমর গান..আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফ্রেব্রুয়ারি..আমি কি ভুলিতে পারি।
এ উপলক্ষে সব বয়সীদের পদচারণায় মুখর ছিল এডমন্টনের শ্রেজং মাল্টি কালচারাল সেন্টার। পুরো হল পরিণত হয়েছিল মিনি বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব এডমন্টন আয়োজন করে ওই অনুষ্ঠানের। ওই শহরে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য মেয়র ডন আইভিসনকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।
প্রবাসীদের এই শ্রদ্ধার আয়োজনে দূরে থাকতে পারেননি কানাডা সরকারের মন্ত্রীরাও। যোগ দেন মাতৃভাষা দিবসের এই আয়োজনে। উপস্থিত ছিলেন কানাডার এডমন্টন মিল উডস এলাকার সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় খনিজসম্পদ মন্ত্রী অমরজিৎ সহি, আলবার্টা প্রদেশের শ্রমমন্ত্রী ক্রিস্টিনা গ্রে, এডমন্টনের মেয়র ডন আইভিসন, আন্তর্জাতিক ও ঐতিহ্য ভাষা সংস্থার প্রধান সহযোগী ট্রুডি এবারডেন, বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব এডমন্টনের সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রৌশন বেগম ও সহসভাপতি এইচ এম আশরাফ আলী।
আয়োজকেরা জানান, কত কষ্টের বাংলাভাষা আর বাঙালির স্বাধীনতা, তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে ছোট্ট পরিসরে তুলে ধরাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার পাশাপাশি আয়োজন ছিল স্বাধীনতা দিবসেরও। নাচ গানের পাশাপাশি ছিল শিশুদের তৈরি নাটক।