ওয়াশিংটন ডিসিতে আত্মপ্রকাশ করল আবৃত্তি সংগঠন ‘সমস্বর’
আবৃত্তিশিল্পে শুদ্ধ উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি, প্রক্ষেপণ ও কবিতার মর্মার্থ উপলব্ধির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পথচলা শুরু করল শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি সংগঠন ‘সমস্বর’। গত রোববার জর্জ মেসন রিজিওনাল লাইব্রেরি মিলনায়তনে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘সমস্বর’-এর অভিষেক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার। ওয়াশিংটন ডিসির প্রবাসী বাঙালিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে শুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন রোকেয়া হায়দার। এরপর শুভেচ্ছাবাণী পাঠ করেন বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক আনিস আহমেদ। তিনি মনে করেন, সমস্বরই ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রথম বাংলা আবৃত্তি সংগঠন।
সমস্বরের পক্ষে অদিতি সাদিয়া রহমান স্বাগত বক্তব্যে এর উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মানবপ্রেম, সাম্যবাদ ও বিদ্রোহের অমর সৃষ্টি নিয়ে প্রযোজিত এই অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও পরিচালনায় ছিলেন অদিতি সাদিয়া রহমান। তিনি বলেন, কেবল আবৃত্তি অনুষ্ঠান আয়োজনই সমস্বরের মূল লক্ষ্য নয়, বরং সংগঠনটি ওয়াশিংটন ডিসিতে শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের আন্দোলন শুরু করতে চায়।
‘অন্তর্যামী বিকশিত : অনন্ত সত্যে’ শীর্ষক এই আবৃত্তি আয়োজনে সমস্বরের যে সদস্যবৃন্দের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে, তাঁরা হলেন অদিতি সাদিয়া রহমান, আরিয়ানা এলাহী, কুলসুম আলম, ড. তৌফিক হাসান, তারেক মেহদী, তিলক কর, মিজানুর রহমান খান, মো. শাহীনুর রহমান, রাহাত ই আফজা ও সামারা এলাহী। ড. পল ফেবিয়ান গোমেজ-এর তবলার মূর্ছনা আবৃত্তি আয়োজনকে এক ভিন্নমাত্রা দেয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বটি সাজানো হয়েছিল আমন্ত্রিত বিশিষ্ট বাচিক শিল্পীদের পরিবেশনা দিয়ে। ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক সরকার কবির উদ্দিনের আবৃত্তি দর্শক-শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। ওয়াশিংটন ডিসির আরো যেসব বরেণ্য বাচিক শিল্পী এই পর্বে আবৃত্তি পরিবেশনা করেন তাঁরা হলেন সিলিকা কণা, এ কে এম আসাদুজ্জামান, সাবরিনা চৌধুরী ডোনা, এ কে এম খায়রুজ্জামান, স্বাতী সিনহা ও শওকত খান দিপু।
নান্দনিক এ অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা করেন ড. সুব্রত ধর, রায়হান এলাহী, ড. মিজানুর রহমান, ইরাজ তালুকদার, ড. মরিয়ম পারভীন ও ডেভিড রানা।