আপনার জিজ্ঞাসা
মঙ্গল গ্রহে যাওয়ায় কি কোনো বাধা আছে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৪৮৬তম পর্বে মহাকাশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী, সে সম্পর্কে খুলনা থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন আলমগীর কবির। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : মানুষের পক্ষে কি ঊর্ধ্বগমন করা সম্ভব? যেমন— চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে যাওয়া? সেটা রকেটের মাধ্যমে বা যেভাবেই হোক। এটা কি ইসলামিক দৃষ্টিতে আদৌ সম্ভব? সাধারণত অনেক ক্ষেত্রে আমরা বুঝি যে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার এ ব্যাপারে ইসলামে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা এ বিষয়ে কিছু বলা আছে কি না?
উত্তর : না। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা কোরআনে কারিমের মধ্যে বলেছেন, ‘কোনো জিনিস আসমানের দিকে বা উপরের দিকে উঠছে…’, এক্ষেত্রে এটা একটা উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। আবার আমরা মেরাজের কথাও জানি।
সুতরাং ঊর্ধ্বগমন হারাম বা নিষিদ্ধ কোনো বিষয় নয়। এটি জায়েজ এবং সম্ভব। আমরা তো বিমানে করে যাচ্ছি, সেখানে ঊর্ধ্বগমন হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। প্রায় ৩৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিমান। আরো অনেক ওপর দিয়েও যাচ্ছে।
সুতরাং ঊর্ধ্বগমনটা বর্তমান প্রযুক্তির যুগে সম্ভব। সম্ভবপর কোনো কাজ ইসলামের শরিয়তের মধ্যে নিষিদ্ধ, এ কথা বলা যায় না।
মানুষ চাঁদে গেছে এই মর্মে যে বক্তব্য দেওয়া হয়ে থাকে, এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এটি একটি বিতর্কিত বিষয়, প্রশ্নবিদ্ধ। তবে বর্তমানে মানুষ রকেটের মতো বিভিন্ন ধরনের যে যানবাহন আবিষ্কার করেছে, সেগুলোর মাধ্যমে ঊর্ধ্বগমন করাটা বিতর্কিত বিষয় নয়। এটি সম্ভব।
আমরা তো জানি, আল্লাহর সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে মানুষের দেখা, গবেষণা করা, শিক্ষা নেওয়া, সেখান থেকে সুবিধা হাসিল করা, এটা তো ইসলামসম্মত বিষয়। তাই ঊর্ধ্বগমনে বাধা থাকার তো কোনো কারণ নেই। ঊর্ধ্বগমনে গিয়ে যদি কোনো আবিষ্কার হয়, মানুষের কল্যাণ হয়, সেটা তো ভালো। আর বিজ্ঞান সম্পর্কে ইসলামের ধারণা তো ইতিবাচক।