প্রস্তুত তুরাগ তীর

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্ততি শেষ হয়েছে। আগামী কাল শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি এরই মধ্যে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে দলে দলে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এসে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী আগামীকাল ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার মূল আনুষ্ঠানিকতা। তবে আগে থেকেই মুসল্লিরা চলে আসায় ইমান, আমল ও আখলাখের ওপর আম বয়ান শুরু হয়ে গেছে। এবারের আম বয়ানে অংশ নেবেন বাংলদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা।
ইমান, আমল ও আখলাকের ওপর জ্ঞান অর্জন এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য তুরাগ তীরের ইজতেমা মাঠে তিন হাজার বিদেশি মেহমানও এসেছেন। তাঁদের জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যরা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি), ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ, আগত মুসল্লিদের মালপত্র ও দেহ তল্লাশি এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন। বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর আট হাজার সদস্য নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পাঁচ স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে তিনটি আর্চওয়ে। এ ছাড়া পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশি মেহমানখানায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দেশি-বিদেশি লাখো মুসল্লির জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ জানালেন, মুসল্লিদের জন্য ওজুখানা ও গোসল খানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া মশা দূর করার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ধুলাবালি কমাতে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা, বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পাঁচটি কন্ট্রোলরুম করেছে সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
আগামী ১৫ জানুয়ারি মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।