ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/25/photo-1443182152.jpg)
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, ত্যাগ ও উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সকালে বিভিন্ন সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
ভজন দাস, নেত্রকোনা : সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা শহরের মোক্তারপাড়া বড় মসজিদ ও ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মোক্তারপাড়া বড় মসজিদে জামাতের ইমামতি করেন নেত্রকোনা বড় মসজিদের খতিব মাওলানা আজিজুর রহমান। এ সময় জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার ও পৌরসভার মেয়র প্রশান্ত কুমার রায় আগত মুসল্লিদের স্বাগত জানান। এ জামাতে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাসহ হাজারো মুসল্লি অংশ নেন। এ ছাড়া জেলা শহরের পুলিশ লাইন মাঠ, বিজিবি ঈদগাহ মাঠ, সাতপাই আলিয়া মাদ্রাসা, কলেজ মাঠ, নাগড়া মসজিদসহ জেলায় এক হাজার ৭৩০টি মসজিদ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জাহিদুর রহমান : সকালে সাভারের ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করা হয়।
মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা : খুলনা সার্কিট হাউস ময়দান ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত না থাকায় খুলনায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে টাউন জামে মসজিদে। সকাল ৮টায় প্রথম জামাত হওয়ার পর এখানে এক ঘণ্টা পর পর তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. সালেহ। খুলনায় ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এম নূরুল ইসলাম দাদু ভাই, খুলনার জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন পেশার সর্বস্তরের মুসল্লিরা।
এ ছাড়া নগরীর বাইতুন নূর জামে মসজিদ, জিন্নাহ মসজিদ, আলিয়া মাদ্রাসা, শহীদ হাদিস পার্ক, নূর নগর ফায়ার ব্রিগেড ঈদগাহ, ইসলামাবাদ ঈদগাহসহ নগরীর সব ওয়ার্ডের ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঈনুল হক বুলবুল, সিলেটে : শাহি ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ কামাল উদ্দিন। প্রধান জামাতে স্থানীয় রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ ছাড়া একই সময়ে দরগাহে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণ, দরগাহে হজরত শাহ পরাণ (রহ.) মাজার ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর বন্দরবাজারে হাজি কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়।
নাফিজ আশরাফ, নারায়ণগঞ্জ : সিটি করপোরেশন আয়োজিত নগরীর জামতলা ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং খানপুর ইসলামী কাফেলা আয়োজিত হাসপাতাল সড়কে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিয়া, পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিশিষ্টজন।
শাহজাহান সিরাজ মিঠু, জয়পুরহাট : সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত শহরের জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতে জেলা পরিষদের প্রশাসক এস এম সোলায়মান আলী, জেলা প্রশাসক মো. আবদুর রহিম, পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ জেলার জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জয়পুরহাট সিদ্দিকীয়া কামেল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ইমাম মাওলানা আবদুল মতিন নামাজে ইমামতি করেন।
সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর : সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে শহরের চানমারীতে অবস্থিত ঈদগাহ ময়দানে। জামাতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী মেথুসহ শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। জামাত শেষে মিনায় নিহত হাজিদের আত্মার মাগফিরাত এবং সুখী, সমৃদ্ধ, শান্তিময় বাংলাদেশ, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি সর্বোপরি বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে সকাল ১০টায় জেলার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখো মানুষ অংশ নেয়।
বিশ্বজিৎ সাহা, নরসিংদী : সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় গাবতলী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার ঈদগাহ ময়দানে। জামাতে ইমামতি করেন গাবতলী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মহিলা মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন মাদানী। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই জামাতে অংশ নেন। নামাজ শেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ ছাড়া শহরের জেলা কালেক্টরেট ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোর্শেদ জামানসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা।
নাসির আহমেদ, গাজীপুর : সকাল ৮টায় ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ও গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইমামতি করেন মাওলানা মনিরুল আহমেদ খান ও গাজীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করেন মুফতি মাওলানা আবদুর রাজ্জাক। ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠের প্রধান ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন জেলা প্রশাসক এস এম আলম ছাড়াও জেলার জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। এ ছাড়া গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলায় অর্ধশতাধিক বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাহবুব হোসেন সারমাত, গোপালগঞ্জ : পৌর ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন জেলা কোর্ট মসজিদের ইমাম মুফতি হাফেজ হাফিজুর রহমান। শিশু ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী ইমদাদুল হক, পৌরসভার মেয়র রেজাউল হক সিকদার রাজু। পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এর পর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা মসজিদ, মিয়াপাড়া জামে মসজিদ, বেদগ্রাম জামে মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলায়ও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এস এম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার : সকাল সাড়ে ৭টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সিদ্দিকী। জামাতে অংশ নেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান ও পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন। এ ছাড়া জেলার শীর্ষ রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। একই স্থানে আরো দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া জেলার সাতটি উপজেলার শতাধিক স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহ দেশ ও জাতির কল্যাণ চেয়ে মোনাজাত করা হয়।
মো. জালাল উদ্দিন, কুমিল্লা : কুমিল্লায় সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মো. ইব্রাহিমের ইমামতিতে এ জামাতে অংশ নেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. ওমর ফারুক, জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল ও কুমিল্লার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়ার মধ্য দিয়ে ঈদের জামাতের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।