আপনার জিজ্ঞাসা
পবিত্র কোরআনের পাতা ছিঁড়লে কীভাবে সংরক্ষণ করব?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
রমজান ২০১৬-এর বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসা অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে তেলাওয়াতের অনুপযুক্ত কোরআন শরিফ কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে বসুন্ধরা থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন মাহাবুব ইসলাম। অনুলিখন করেছেন মুন্সী আব্দুল কাদির।
প্রশ্ন : আমার একটি কুরআন শরিফ আছে, যার পাতাগুলো একদম ছাড়াছাড়া হয়ে গেছে। এটাকে সংরক্ষণের জন্য কোনো জায়গায় রাখা বা ফেলা বা রাখা যায় কি না অর্থাৎ ইসলামের দৃষ্টিতে এটাকে কীভাবে সৎকার করা যায়?
উত্তর : কুরআনুল কারিম যেহেতু আল্লাহতায়ালার কালাম এবং আল্লাহু সুবহানাহুতায়ালার কালামকে সংরক্ষণ করা হয়েছে এই কিতাবের মাধ্যমে, তাই এটির মর্যাদা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সৎকারের ক্ষেত্রে ওলামায়েকেরামের দুটি বক্তব্য রয়েছে। একদল ওলামায়েকেরামের মতে কুরআনে কারিমের অবস্থা যদি এমন হয় যে এটি আর তেলাওয়াতের যোগ্য না থাকে কাগজের কারণে, সে ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে এটাকে সুন্দর একটি কাপড়ে বা সুন্দর একটি প্যাকেটে মুড়িয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলবেন যেখানে কোনো ধরনের খারাপ বা নোংরা অবস্থা না থাকে। সে ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ কুরআনে কারিমের যে মর্যাদা রয়েছে, সেটি আপনি রক্ষা করতে পারলেন।
আরেকটি বক্তব্য রয়েছে সেটি হলো এই, এটাকে সম্পূর্ণ রূপে পুড়িয়ে ফেলে এর ছাইটাকে আপনি একটি নিরাপদ জায়গায় রেখে দিতে পারেন। এবং এটি সাহাবিদের আমল দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উসমান ইবনে রাফান (রা.)-এর কথা বলা যায়। তিনি যখন মোসাবগুলো একসঙ্গে করলেন, অর্থাৎ শুধুমাত্র মুসহাফ কুরাইস অর্থাৎ কুরাইসের ওপরে যে মুসহাফ সংকলিত হয়েছিল, সেটাকে রেখে বাকিগুলোকে তিনি পুড়িয়ে ফেললেন। তারপর ছাইগুলোকে একসঙ্গে করে তিনি মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিলেন। এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে এ কাজটিও করা জায়েজ রয়েছে। এ দুটিই মূলত কুরআনে কারিমের যে সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে তা পালনের জন্য উপযুক্ত ও যথার্থ।