আপনার জিজ্ঞাসা
ঘরে ছবি থাকলে রহমতের ফেরেশতা কি ঢুকবে না?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ১৫তম পর্বে টেলিফোনে বাড়িতে ছবি থাকলে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে কি না, সে সম্পর্কে চট্টগ্রাম থেকে জানতে চেয়েছেন শামীম উদ্দিন। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমি একটি হাদিস শরিফে শুনেছি, কোনো প্রাণীর ছবি যদি বাড়িতে থাকে, তাহলে সেখানে রহমতের ফেরেশতা ঢোকে না। কিন্তু আবার একজন ইমামের কাছে শুনেছি, বাজারের প্যাকেটে যদি মানুষের বা কোনো প্রাণীর ছবি থাকে এবং সেই প্যাকেট নিয়ে মসজিদে যাওয়ার পর সেটা নামাজের সময় দেখা গেলে নাকি নামাজ হবে না। আসলে ছবি তোলা, রাখা বা ঘরে টানিয়ে রাখাটা কি জায়েজ আছে? ছবি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর : এই হাদিস সহিহ। এটি আবু দাউদ তাঁর সুন্নাহর মধ্যে বর্ণনা করেছেন। যদি কারো ঘরের মধ্যে এভাবে ছবি ঝুলিয়ে রাখা হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে রহমতের ফেরেশতা ঢোকেন না। এটি রাসূল (সা.) বলেছেন।
আর প্যাকেটে ছবি থাকলে এবং সেটি নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলে নামাজ হবে না, এই মর্মে কোনো হাদিস সাব্যস্ত হয়নি। এটি ইমাম সাহেব নিজেই তৈরি করে বলেছেন। এ ধরনের কোনো প্যাকেটের মধ্যে যদি ছবি থাকে আর সেটি যদি মনোযোগ নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে, তাহলে সালাতের ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উচিত হচ্ছে প্যাকেটটি এমনভাবে রাখা যাতে করে মুসল্লির মনোযোগ নষ্ট না করে। মসজিদের মধ্যে সেটাকে হেফাজত করা।
মসজিদের আদব হচ্ছে মসজিদের ভেতরে কেউ ছবি নিয়ে প্রবেশ করবেন না। কারণ, ১০০ ছবি নিয়ে যদি কেউ প্রবেশ করে, তাহলে মসজিদের অবস্থা কী হবে? মসজিদে সালাতের জন্য মানুষ প্রবেশ করবেন। সে ক্ষেত্রে যদি কোনো কারণে কেউ বাধ্য হয়ে যায়, তাহলে তাঁর জন্য উচিত হচ্ছে সে ছবিকে তিনি এমনভাবে রাখবেন, যাতে কোনোক্রমেই এটি দৃষ্টি আকর্ষিত না হয়। নামাজ হবে না, এটি বাড়তি কথা।