আপনার জিজ্ঞাসা
মহানবী (সা.)-এর পক্ষে কি কোরবানি দেওয়া যায়?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৮৭০তম পর্বে চিঠিতে কোরবানি সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দর্শক জানতে চেয়েছেন। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : একবার টেলিভিশনে শুনেছিলাম, আমরা যখন কোরবানি দেওয়া শুরু করব, তখন প্রথমে নবীজির পক্ষ থেকে শুরু করতে হবে, অর্থাৎ প্রথমবার নবীজির পক্ষেই কোরবানি দিতে হবে? এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেবেন?
উত্তর : কারো ওপর যদি কোরবানি ওয়াজিব হয় অথবা সুন্নত হয়, কোরবানির মাসায়ালার মধ্যে আলেমদের দ্বিমত আছে। একদল ওলামায়ে কেরাম এটাকে ওয়াজিব বলেছেন। যদি কারো ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়, তাহলে তিনি তাঁর পক্ষ থেকেই কোরবানি দেবেন।
আর নবী (সা.)-এর পক্ষ থেকে কেন কোরবানি দেবেন? নবী (সা.)-এর পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, উম্মতের যত আমল আছে, সব আমলের সওয়াব নবী (সা.) অবশ্যই পাবেন। হকদার, তিনি পেয়ে যান। আর নবী (সা.)-এর সওয়াবেরও তো প্রয়োজন নেই। নবীজি সওয়াবের জন্য মোহতাজ নন। এটা ভুল কথা। টেলিভিশনের এই বক্তব্য ভুল কথা।
নবী (সা.) এই উম্মতের সব ভালো কাজের দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। হাদিসের মধ্যে নবী (সা.) বলেছেন যে, ‘ভালো কাজের প্রতি যে দিকনির্দেশনা দেয়, সে ওই ভালো কাজ যে করেছে তাঁর মতোই সমান সওয়াব পাবে।’
নবী (সা.) সওয়াব এমনিই পেয়ে যাবেন। আপনি কোরবানি করার সঙ্গে সঙ্গেই এর সওয়াবটাই নবীজির আমলনামায় যোগ হয়ে যাবে। যেহেতু আমরা তাঁর উম্মত এবং তিনি আমাদের এটা শিখিয়েছেন, তাই এর জন্য নবী (সা.)-এর পক্ষ থেকে কোরবানি করতে হবে, এ কথা শুদ্ধ নয়।