হজ ও উমরাহ
জেদ্দায় পৌঁছানোর পর কী করবেন?

সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন ফরজ (অবশ্যকর্তব্য)। আমরা সব সময় চর্চা করি না বলে হজ পালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা থাকে না। হজের শুদ্ধ পদ্ধতি, হজের প্রস্তুতি- এসব বিষয়ে জানা আমাদের কর্তব্য। এ লক্ষ্যেই এনটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হজ ও উমরাহ’। এ অনুষ্ঠানে হজ, উমরাহসহ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে দর্শক প্রশ্ন করেন। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের মনে জাগা এসব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
‘হজ ও উমরাহ’র প্রথম পর্বের অনুলিখন করেছেন জহুরা সুলতানা। আজ প্রকাশিত হলো প্রথম পর্বের দ্বিতীয় কিস্তি
জেদ্দায় অবতরণকালে করণীয়
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে জেদ্দা ছয় ঘণ্টার যাত্রা। বিমানে আরোহণের আগে আপনি যদি এহরামের ভেতর ঢুকে না থাকেন, আপনি যদি মনে করেন মিকা থেকে এহরাম করবেন, সে ক্ষেত্রে মিকায় পৌঁছানোর আগেই বিমানে ঘোষণা দেওয়া হবে, মিকা চলে এসেছে আপনারা এহরাম বেঁধে নিন। ওই সময় একটু সজাগ থাকবেন যাতে আপনার এহরামটা শেষ করতে পারেন।
এরপর জেদ্দা হজ টার্মিনালে আপনার বিমান অবতরণ করবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে যখন জেদ্দায় পৌঁছে যাবেন, তখন আপনি অবশ্যই এহরামের ভেতর থাকবেন। বিমান থেকে নামার পর সেখানে এসি গাড়ি আসবে, গাড়ি আপনাকে হজ টার্মিনালের ভেতরে নিয়ে যাবে এবং একটি রুমে রাখবে। সেখানে যদি কোনো কাজ থাকে, কোনো কাগজ পূরণ করার থাকে তাহলে তা পূরণ করে দেবে। আর না হয় যখন ইমিগ্রেশনের লাইন একটু কম হয়ে যাবে তখন আপনাকে সেখানে নিয়ে যাবে। ইমিগ্রেশনে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং দাঁড়াতে হবে। পুরো হজ সফরে আল্লাহ বহুবার আপনার কাছ থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন। প্রতিটিতেই সফল হওয়ার চেষ্টা করবেন।
যখন এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে, আপনি কনভেয়ার বেল্টে যাবেন, লাগেজটি খুঁজে বের করবেন এবং কাস্টমস এ চলে যাবেন। কাস্টমস খুবই সহজ, ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। সেখানে স্ক্যানিং মেশিনে আপনার লাগেজ, ক্যাবিন ব্যাগ দিয়ে দেবে। কাস্টমস হয়ে যাবে। এরপর একটা ট্রলিতে আপনার লাগেজটা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ প্লাজায় গিয়ে সেই ট্রলি থেকে আপনার লাগেজটি আপনি সংগ্রহ করবেন।
বাংলাদেশ প্লাজায় করণীয়
যখন বাংলাদেশ প্লাজায় চলে আসবেন এখানে পর্যাপ্ত টয়লেট, বাথরুম (দুটিই পৃথক), অজুর জায়গা এবং মসজিদ রয়েছে। সুতরাং সফরের নামাজটা এখানে আদায় করবেন। চেষ্টা করবেন সব নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করতে। বাংলাদেশ প্লাজায় যতক্ষণ থাকবেন, বুঝতে হবে আপনি কিন্তু এহরামের ভেতর আছেন, আপনার মুখের তখন একটাই ভাষা হবে, সেটি হলো তালবিয়া। যত বেশি পারবেন তালবিয়া পড়বেন এবং যখনই পড়বেন তিনবার করে পড়বেন। এখানে বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়া, অন্য সফরসঙ্গীদের সঙ্গে পরিচিত হবেন। আর একসঙ্গে সবাই মিলে তালবিয়া পড়তে থাকবেন। এখানে আপনার যখন আর কোনো কাজ থাকবে না, আপনার হজ এজেন্সি আপনার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করবে। এরপর আপনাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে বাসে ওঠাবেন। অবশ্যই ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়াতে হবে। কারণ যখন লাইনে দাঁড়াবেন, তখন বারবার গণনা করা হবে সুতরাং ধৈর্যচ্যুতি ঘটাবেন না। বাস এলে উঠে যাবেন এবং খেয়াল রাখবেন আপনি যে বাসে উঠছেন সেখানে আপনার লাগেজটি উঠছে কি না। আর কেবিন ব্যাগটি সব সময় আপনার সঙ্গে থাকবে। কেবিন ব্যাগে অবশ্যই এহরামের আরেকটি সেট কাপড় রাখবেন, কিছু টয়লেট টিস্যু রাখবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখবেন।
মক্কায় পৌঁছানোর পর
বাস সোজা আপনাকে মক্কায় নিয়ে যাবে। বাসে বসার পর তালবিয়া পড়বেন। মক্কায় যাওয়ার পথে এই বাসটি হজ এবং মুয়াল্লিম অফিসে থামবে। মুয়াল্লিম আপনাদের সালাম দেবেন, কিছু উপঢৌকন দেবেন, জমজমের পানি খাওয়াবেন। এরপর বাসটি মক্কায় আপনার হোটেলের সামনে থামবে এবং লাগেজ নিয়ে আপনারা আপনাদের রুমে চলে যাবেন। রুমে যাওয়ার পর আপনার কাজ হবে বিশ্রাম নেওয়া এবং আপনার যে গাইড আছেন, তাঁর ওপর আনুগত্য করা। উনি ভালো করে জানেন কোন সময়টাতে উমরাহ করালে আপনার সময় কম লাগবে এবং কোনো অসুবিধা হবে না। দয়া করে ধৈর্য ধারণ করতেই হবে।
বর্জনীয় কাজ
হজের সফর অত্যন্ত কষ্টের এবং ধৈর্যের। সুতরাং এই কাজগুলো করবেন না— রাগান্বিত হওয়া যাবে না, বিরক্ত হওয়া যাবে না এবং কোনো ধরনের অভিযোগ দেওয়া থেকে নিজেকে সংযত রাখবেন। এটাই হলো মক্কায় পৌঁছানো পর্যন্ত কাজ। ইনশাল্লাহ পরবর্তী পর্যায়ে কীভাবে আপনার উমরাহ সম্পন্ন করবেন সেই তাওয়াফ, সায়ী, এগুলো আমরা আলোচনা করব।
প্রশ্নোত্তর
জয়পুরহাট থেকে হাশিম আলী
প্রশ্ন : হজ আমার ওপর ফরজ হয়নি, কিন্তু মনে খুবই ইচ্ছা মক্কা শরিফ, মদিনা শরিফ দেখার। আমি কি দোয়া করতে পারি এ ক্ষেত্রে?
উত্তর : সুনির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে আপনি যেকোনো ধরনের দোয়া করতে পারেন। আল্লাহর কাছে ইচ্ছেটা পৌঁছে দেন। যাতে হজ করার সুযোগ হয়। সেই তওফিক যেন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা দেন। এমন ব্যক্তি আছে যাদের আসলে একবার না মোটে হজে যাওয়ারই ব্যবস্থা নেই কিন্তু বহুবার হজ করেছেন। অনেকের অনেক সামর্থ্য কিন্তু হজের যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এ জন্য তৌফিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি বান্দাকে দিয়ে থাকেন, তাহলেই তিনি হজে যেতে পারবেন। এ জন্য আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে তৌফিক কামনা করুন। বেশি বেশি দোয়া করুন। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তৌফিক দেবেন।
প্রশ্ন : আকাশে বজ্রপাত হলে সুরা রদের ১৩ নম্বর আয়াত পড়ার কথা বলা হয়েছে। এটার প্রয়োজন (ফজিলত) আছে কি?
উত্তর : বজ্রপাতের জন্যও সুনির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে কেউ কেউ বলেছেন যে, উনি যে আয়াতের কথা উল্লেখ করেছেন সেটি পড়া যেতে পারে। তবে আল্লাহর নবী (সা.) বৃষ্টির সময় বিভিন্ন ধরনের দোয়া করেছেন। সেগুলো দোয়া করা যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট দোয়া না থাকলেও আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা যেতে পারে।
সাভার থেকে জনৈক দর্শক
প্রশ্ন : হজে মহিলাদের তো মাহরাম লাগে। তবে যদি তারা এককভাবে না গিয়ে দলগতভাবে যায় সেখানে কি মাহরাম নিতে হবে, নাকি মাহরাম না নিলেও চলবে?
উত্তর : মহিলাদের জন্য মাহরাম সঙ্গে নিয়ে যাওয়াটাই হচ্ছে বিধান। যেহেতু আল্লাহর নবী (সা.) নিষেধ করেছেন, তাই তাঁর এ সফরটুকু হারাম সফর করে হজ পালন করার চেষ্টা করাটা শুদ্ধ নয়।
তবে যদি এমন অবস্থা হয় যে তাঁর মাহরাম নেই এবং তিনি বয়োবৃদ্ধ হয়ে গেছেন, তাঁর ওপর হজ ফরজ হয়েছে কিন্তু আদায় করতে পারছেন না, কেউ কেউ বলেছেন সে ক্ষেত্রে হয়তো যদি নির্ভরযোগ্য কোনো আত্মীয়স্বজন থাকে তাহলে তাঁদের সঙ্গে হজ পালন করতে পারবেন। কিন্তু এ মাসালাটি একেবারেই একটি গবেষণামূলক।
যেহেতু দলিলে এখানে সুস্পষ্ট নিষেধ আছে এবং বাস্তবতাও হচ্ছে একজন মহিলা হজে গেছেন আর তাঁর সঙ্গে কেউ নেই, সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন, হজে গিয়ে অনেক কঠিন পরিস্থিতি আসে। যেমন- জামারায় পাথর মারার সময় আমরা নিজেদের বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি মহিলাদের দুই হাতে বেষ্টন করে তাঁদের নিরাপত্তা দিতে হয়। সে কাজটি মাহরাম আত্মীয় ছাড়া কে কার জন্য করতে পারে। একান্ত মাহরাম ছাড়া সে সময় সহযোগিতা করার মতো কাউকে পাওয়া যায় না।
তাই এ কাজটি মূলত শুদ্ধ নয় যেহেতু নবী (সা.)-এর নির্দেশনা পরিপন্থী। উত্তম কাজ হচ্ছে মাহরাম ছাড়া তিনি হজে যাবেন না। হজের শর্ত যেহেতু মহিলাদের সঙ্গে মাহরাম থাকার সেই ক্ষেত্রে তো মাহরাম না থাকলে হজের শর্ত পূরণ হলো না। আর তাতে হজ না করলে গুনাহ হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। হজ না করতে পরলে বিকল্প হিসেবে তিনি বদলি হজ করাতে পারবেন।
জনৈক ব্যক্তি
প্রশ্ন : মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, হজের মাসগুলো সুবিদিত অর্থাৎ, এক মাসে হজ না, একাধিক মাসে হজ। তাহলে কেন শুধু এক মাসেই হজ করা হচ্ছে, অন্য মাসে কেন করা হয় না? এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোরআনভিত্তিক উত্তর দেবেন ইনশা আল্লাহ।
উত্তর : হজের ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা মাসের কথা উল্লেখ করেছেন। এই মাসগুলোর উদ্দেশ্য কী সেটা ফরমান থেকে বলা হয়েছে। আমরা আসলে কোরআনে কারিম যাঁরা বুঝি না, তাঁরা কোরআনের অর্থ না বুঝেই এলোমেলো করে দিচ্ছি নিজেদের। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হজের মাসগুলো সুবিদিত’। এর অর্থ কী? এই পুরো মাসের অর্থাৎ যে মাসগুলোর কথা বলা হয়েছে, সে মাসে হজ পালন করা হবে? না। এই মাসগুলো নির্ধারণ করা হলো কেন? এটা এই আয়াতের পরের অংশে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং এই দিনগুলোর মধ্যে হজের ইহরাম করবে।’
অর্থাৎ এই মাসটা নির্ধারণ করা হয়েছে হজের ইহরামের জন্য। হজের আহকামগুলো নির্দিষ্ট করা হয়েছে ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই। কিন্তু আল্লাহর বান্দা ইহরাম করতে পারবে এই সময়ের মধ্যে। হজে যে মাসগুলো আছে সেখান থেকে আপনাকে ইহরাম করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আপনি যদি শুরু করেন, শাওয়াল থেকে আরম্ভ করে জিলকদ, জিলহজের নয় তারিখ পর্যন্ত হজের ইহরাম করার সুযোগ আছে।
এটা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার সবচেয়ে বড় দয়া যে আল্লাহ যদি এই দীর্ঘ সময় না দিতেন তাহলে যারা দূর-দূরান্ত থেকে হজ করার জন্য আসেন, তাঁরা আসতে পারতেন না। সেই আগের সময় ও প্রেক্ষাপট আমাদের বুঝতে হবে। এখন তো বাহনের ব্যবস্থা হয়েছে, আবার একসময় তো সেটা নাও থাকতে পারে। আর পৃথিবীর এমন ভূখণ্ডে আল্লাহর বান্দা আছে হয়তো সেখানে তাঁর বাহনের ব্যবস্থা নেই। তাহলে আল্লাহতায়ালার বিধান তো সবার ইবাদতের জন্য। তাঁকে মাসের পর মাস সময় ব্যয় করে হেঁটে বা অন্যভাবে আসতে হতো।
ফলে এই মাসগুলোর মধ্যে যে ব্যক্তি ইহরাম করবেন তাঁর বিধান হচ্ছে এই। তাই এখানে আয়াতের মধ্যে আল্লাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে হজের মাসগুলো কেন। হজের মাসগুলো এই জন্য যাতে করে আল্লাহ বান্দাদের ইহরাম করতে সহজ হয় এবং তাঁরা দূর থেকে ইহরাম করে, হজের মূল আহকামগুলো পালন করার জন্য তাঁরা আসতে পারেন। বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যেহেতু আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট করেছেন।
আলোচনা
আমরা এপর্যায়ে আপনার কাছে জানতে চাইব, হজ ও উমরাহ সম্পর্কে তো আমাদের ভাইরা প্রশ্ন করছেন। হজ ও উমরাহ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেবেন? এই ইবাদতটা কেন?
হজ এবং উমরাহ এ দুটি আসলে দুটি ভিন্ন ইবাদত এবং এই দুটি ইবাদতের কিন্তু মূল পদ্ধতি একই।
হজ হচ্ছে বড় ইবাদত আর উমরাহ হচ্ছে ছোট ইবাদত। উমরাহকে কেউ কেউ বলেছেন ছোট হজ। উমরাহ শব্দের অর্থ হচ্ছে আজিয়ারহ। জিয়ারা অর্থ হচ্ছে পরিদর্শন করা। যেহেতু উমরাহের মাধ্যমে আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর ঘরের সম্মানার্থে আল্লাহর ঘর পরিদর্শন করে এবং আল্লাহর ঘরের সম্মানার্থে সেখানে সুনির্দিষ্ট কিছু ইবাদত করে। তার জন্য এর নাম দেওয়া হয়েছে উমরাহ। উমরাহটা মূলত পরিপূর্ণ ইবাদত। উমরাহের যতগুলো বিধান রয়েছে, সবই মূলত আল্লাহর ঘরের সম্মানার্থেই হয়ে থাকে। অর্থাৎ আল্লাহর ঘরকেন্দ্রিক। বলা হয় আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ এবং আল্লাহর ঘরের পাশে সাফা ও মারওয়ার সাঈ এবং আল্লাহর ঘরে যেসব ইবাদত করা হয়ে থাকে এগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে উমরাহের বিষয়টি।
হজ হচ্ছে আরেকটু বিস্তারিত। আল্লাহর ঘরের সঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেসব সায়ায়েরকে, যেসব নিদর্শনকে আল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন সে নিদর্শনগুলোকে যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করা আল্লাহর বিধানের আলোকে এটাই হচ্ছে মূলত হজের মূল কথা। এ জন্য আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কুরআনে সুরা হজের মধ্যে যখন হজের ঘোষণার কথা উল্লেখ করলেন এবং হজ পালনের নির্দেশ দিলেন, সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলে দিলেন ‘এই যে বিধানগুলো দেওয়া হলো, এসব বিধান এই জন্য যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিদর্শনগুলোকে মানুষ মর্যাদা দেবে, সম্মান করবে। এই মর্যাদা দেওয়ার মূল কাজটাই হচ্ছে তাঁর অন্তরের মধ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ভীতি সঞ্চার করার পদ্ধতি।