আপনার জিজ্ঞাসা
নামাজে কেরাত কত জোরে পড়া যাবে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৮৮৪তম পর্বে নামাজ আদায়ের সময় কেরাত বা রুকু সেজদার তাসবিহ কতটুকু জোরে পড়া যাবে সে বিষয়ে ইমেইলে জানতে চেয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াহিদ। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমি যখন জামাতে সালাত আদায় করব, তখন বৈঠকের দোয়া ও রুকু সেজদার তাসবিহ কতটুকু জোরে পড়ব? একাকী সালাত আদায় করার সময় কেরাত কতটুকু জোরে পড়ব?
উত্তর : গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। যদি একাকী সালাত আদায় করেন, তাহলে কেরাত কতটুকু জোরে পড়বেন? ততটুকু জোরে পড়বেন, যতটুকু জোরে পড়লে আপনি নিজে শুনতে পান। এর বেশি নয়। এই আওয়াজ কখনোই মুখ থেকে বেরিয়ে যাবে না। তেমনিভাবে আপনি যখন কেরাত পড়বেন বা সালাতের মধ্যে সূরাগুলো পড়বেন,তখন আওয়াজটা আপনি নিজ কানে শুনতে পান, এতটুকু জোরে পড়াই যথেষ্ট। আর অন্যরা যাতে শুনতে না পায় সেভাবেই আপনি আদায় করবেন, যেই সালাতগুলোর মধ্যে কেরাতটা আস্তে পড়ার নির্দেশ রয়েছে। আর যেগুলোর মধ্যে কেরাত জোরে আওয়াজ করে পড়ার নির্দেশ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আপনি আওয়াজ করে পড়তে পারেন। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। পাশের লোক শুনলেও কোনো অসুবিধা নেই বা দূর থেকে যদি কেউ শুনতে পায়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। যখন জামাতে সালাত আদায় করবেন, তখনো বৈঠকের দোয়া ও রুকু সেজদার তাসবিহগুলোও সেভাবে পড়াই উত্তম যাতে করে নিজে শোনা যায়।