আপনার জিজ্ঞাসা
কোরআনের আয়াত পড়ে কি মানসিক সমস্যা দূর করা যায়?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৪৭৯তম পর্বে কোরআনের আয়াত পড়ে মানসিক সমস্যা দূর করা যায় কি না, সে সম্পর্কে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন রাশেদুল। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমার স্ত্রী একদিন রাতে কিছু একটা দেখে ভয় পেয়েছিল। এরপর থেকে মাঝেমধ্যে এমন হয় যে সে আমাকে চিনতে পারছে না। ডাক্তারকে দেখানো হয়েছে। বলেছে, আমার স্ত্রীর মানসিক কিছু সমস্যা আছে। আমার মনে হচ্ছে, যখন আমি দোয়া, কোরআনের আয়াত পড়ি, তখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়। আমি সাইফুল্লাহ ভাইয়ের কাছে জানতে চাই যে, আল্লাহ সুবানাহুতায়ালার কোরআন ও সহিহ হাদিসে এমন কোনো আমল আছে কি না, যাতে সে ভালো হতে পারে।
উত্তর : প্রথম কথা হচ্ছে, যেহেতু ডাক্তার সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করুন। কারণ, চিকিৎসা নিতে হবে।
দ্বিতীয় বিষয় হলো, সূরা ফাতিহা ও মাওয়াজাত যেগুলো আছে, যেমন : সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক, সূরা আন-নাস, এগুলো পড়ে আপনি তাঁকে ফুঁ দিতে পারেন। এর সঙ্গে যোগ হবে আয়াতুল কুরসি এবং সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত। এগুলো রাতে পড়ে আপনি নিয়মিত তাঁকে ফুঁ দেওয়ার চেষ্টা করুন।
আর প্রতি রাতে কোরআনে কারিমের আল-বাকারা ঘরের মধ্যে তিলাওয়াত করবেন। তিলাওয়াত দুভাবে করতে পারেন। সেটা হলো, আপনি নিজেও আওয়াজ করে তিলাওয়াত করতে পারেন অথবা সূরা আল-বাকারার ক্যাসেট ঘরে চালু করে দিতে পারেন। রাতে বেশির ভাগ সময়ে ঘুমের আগ পর্যন্ত সূরা আল-বাকারা তিলাওয়াত ঘরে চালিয়ে রাখবেন। এটি এক মাস পর্যন্ত চালিয়ে রাখলে আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা যদি পছন্দ করেন, তাহলে হয়তো ভালো করে দিতে পারেন। সূরা আল-বাকারার শেষ দুই আয়াত না, পুরো আল-বাকারা আপনি ঘরে তিলাওয়াত করবেন।