সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে হজে এক হাজার ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত হামাস অধিকৃত শহর গাজা। এই শহরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৭ হাজার। আর আহত লাখ লাখ। এরমধ্যে নারী-শিশুও আছে। সাত মাস ধরে চলমান এই ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে এসেছে পবিত্র জিলহজ মাস। গত মে মাসে মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার দিকে ইসরায়েলি সৈন্য অগ্রসর হলে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হজের আশা যখন নিভু নিভু, তখন সৌদি বাদশাহের আমন্ত্রণে এক হাজার ফিলিস্তিনি পান হজের সুযোগ। এতে খুশি তারা।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার (১৪ জুন) এ তথ্য জানানোর পাশাপাশি বলছে, আজ শুরু হয়েছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। গতকাল রাত থেকে মিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন হজ যাত্রীরা। এই শহরে আজ যতদূর দেখা যায়, শুধু তাবু আর তাবু। এরইমধ্য দিয়ে হাঁটছেন সাদা কাপড়ে ইহরাম বাঁধা হজযাত্রীরা। তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ যার অর্থ—হে আল্লাহ, আমি হাজির আছি, আমি হাজির আছি। আপনার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির আছি। নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নেয়ামত আপনারই এবং সমগ্র বিশ্বজাহান আপনার। আপনার কোনো শরিক নেই।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়ছে, অধিকৃত গাজার ফিলিস্তিনিরা এ বছর হজের জন্য মক্কায় যেতে পারেনি, কারণ গত মে মাসে মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার দিকে ইসরায়েলি সৈন্য অগ্রসর হলে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে চার হাজার ২০০ হজযাত্রী হজ করতে মক্কায় পৌঁছেছেন। আর সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , এবার হজে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে গাজা যুদ্ধে হতাহত ফিলিস্তিনিদের এক হাজার পরিবারও হজ করতে এসেছে, যাদের অধিকাংশই রাফাহ বন্ধের আগে মিশরে পৌঁছেছিল।