কালের সাক্ষী বখতিয়ার খান জামে মসজিদ

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার উজানি নামক এলাকায় কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে বখতিয়ার খান জামে মসজিদ। মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ‘র শাসনামলে ১১১৭ হিজরি বা ১৭০৫ খৃষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে বলে জানা যায়।
তৎকালীন সময়ে ফৌজদার বখতার খাঁ নামক এক ব্যক্তি ওই এলাকা শাসন করতেন। তিনিই এ মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে মসজিদের শিলালিপি পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায়। স্থানীয়দের মতে, কোনো এক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এলাকাটি জনশূন্য হয়ে গেলে মসজিদটিও ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়। পরবর্তীতে ক্বারী ইব্রাহীম নামে একজন প্রখ্যাত মুসলিম সাধক এ এলাকায় এসে মসজিদটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আবিষ্কার করেন এবং সেখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন শুরু করেন।
এ বিষয়ে মসজিদের বর্তমান পেশ ইমাম মাওলানা আবু বকর এনটিভি অনলাইনকে জানান, এই মসজিদের ইতিহাস পর্যালোচনা করে যতটুকু জানা যায়, গায়েবি ভাবে মসজিদটি হওয়ার যে গল্প কাহিনি সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মূলত মসজিদটি মোঘল আমলের বলে ধারণা করা যায়। যা পরবর্তীতে প্রখ্যাত মুসলিম সাধক ক্বারী ইব্রাহীম (রহ.) আবিষ্কার করেন।
এক গুম্বজ বিশিষ্ট আবিস্কৃত এ মসজিদে ১৫-২০ জন মানুষের নামাজের জায়গা থাকলেও স্থানীয়দের অর্থায়নে এ মসজিদ কালক্রমে বেশ কিছু সংস্কার করা হয়। বর্তমানে এ মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। প্রতিদিন এ মসজিদ দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে।
১৯৮৭ সালের পহেলা অক্টোবর বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।