তোপের মুখে বিএসইসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধার ঘটনা পুরাতন নয়। সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সময় থেকেই বিএসইসিতে অবাধ প্রবেশে করতে পারছিলেন না গণমাধ্যমকর্মীরা। আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এলে তোপের মুখে পড়েন তিনি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির নানা অনিয়ম নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব ভবনে দুপুর ১২টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মলেনে কথা বলতে শুরু করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পুঁজিবাজারের সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমসকে বিশ্বমানে উন্নত করতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধের কাছে। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোন কোন জায়গাতে কারিগরি সহায়তা পেতে পারি, সেইসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপর গণমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্ন প্রশ্ন সম্মুখীন হন। এ সময় বিএসইসি ভবনে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশে বাধা দেওয়ার বিষয়টির যৌক্তিক ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
সাংবাদিকদের প্রবেশ প্রসঙ্গে রাশেদ মাকসুদ বলেন, বিষয়টি সমাধান হবে। সাংবাদিকদের একটি সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ অনেকে অপব্যবহার করেছে।
এ সময় এক কমিশনারের দপ্তরবিহীন করা প্রসঙ্গ তুললে এড়িয়ে যান বিএসইসি চেয়ারম্যান। বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সব করা হয়েছে। পরে তড়িঘড়ি করেই সংবাদ সম্মেলনের স্থান ছাড়েন তিনি। পরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে কথা বলেন বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ।
ফারজানা বলেন, আমরা দুর্বল সার্ভেইল্যান্স সফটওয়্যার দিয়ে চলছি। ২০১২ সালে স্থাপন করা হয়, যা এখন আপডেট করা হয়নি। এটার সমাধান করতে হবে। অবশ্য আমরা এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা সুশাসন নিয়ে কাজ করছি, যা বিএসইসির ভিতর থেকে শুরু হবে।