টানা দরপতন পুঁজিবাজারে, বিভিন্ন দাবিতে বিনিয়োগকারীদের মানববন্ধন
পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন চলছে। পতনের এই তালিকায় ভালো কোম্পানিগুলোর সংখ্যাই বেশি। আবার হাজার কোটি টাকার লেনদেন বর্তমানে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে কমেছে পুঁজিবাজারে মূলধন পরিমাণ। পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতন থেকে মুক্তি পেতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসইর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। তারা শিগগিরই পুঁজিবাজার দরপতন থামানোর কথা বলেন, আর তা না পারলে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে পদত্যাগ করতে বলেন।
মানববন্ধনে বিনিয়োগকারীরা বলেন, ধারাবাহিক দরপতনে পুঁজি হারিয়ে ইতোমধ্যে হিমশিম খাচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে ভয় পাচ্ছি। কারণ, পুঁজিবাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। বোঝা যাচ্ছে না, কোন শেয়ার বাড়বে বা কোনটা কমবে। দরপতনের এমন পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।
মানবন্ধনে বিনিয়োগকারী হারুন বলেন, যত দিন যায়, ততোই পুঁজি হারানোর পথ প্রশস্ত হচ্ছে। কত হারাব? এই হারানোর শেষ কোথায়? এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।
মানবন্ধনে ঐক্য পরিষদের অর্থ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, সরকারের কাছে আকুল আবেদন, পুঁজিবাজারের ২০ লাখ বিনিয়োগকারীকে বাঁচান। কারণ, এই ২০ লাখ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক কোটি মানুষ সম্পর্কিত। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ওপর আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু বর্তমান বিএসইসির কমিশনের প্রতি বিনিয়োগকারীদের কোনো আস্থা নেই। তাই আমরা দ্রুত বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছি।
অপরদিকে আজ দুপুরে পুঁজিবাজারে পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে ১০ দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মানবন্ধন করেন। গেইন-ট্যাক্স দ্রুত প্রত্যাহার, অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ, কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ক্যাটাগরি বিলুপ্ত, কোম্পানিগুলোকে আয়ের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়াসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন মানবন্ধনে বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলো।