ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবারও বিধ্বংসী বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ। ছবি : সংগৃহীত  

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে রেকর্ড বেশ ভালো। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে যে কটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ অনেকটা সমানতালে লড়াই করেছে। এদিন তো আরও বেশি উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছে। স্বাগতিক দলটিকে অল্প রানে বেধে ফেলে ছয় উইকেটে বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।    

ক্যারিবীয় দলটির বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা জয়। ব্যাটিং ও বোলিং প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। বিশেষ করে প্রথমে বোলিংয়ে কোনঠাসা করে ফেলে। পরে ব্যাটরার সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে।  

এখন পর্যন্ত ৪২ ম্যাচ খেলেছে দুই দল, বাংলাদেশ জিতেছে ১৯ ম্যাচে, আর ক্যারিবীয় দলটি ২১ ম্যাচে সাফল্য পায়। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের পর ১৩ ম্যাচ খেলেছে দুই দল। যাতে বাংলাদেশের জয় ১১ ম্যাচে, আর হেরেছে মাত্র দুই ম্যাচে।

২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল। পরবর্তীতে সেই পরিসংখ্যানই যেন বাংলাদেশকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে। যেটা করেছে এই সিরিজেও।

টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টেত চরম ব্যর্থতার পর ওয়ানডেতে এই সাফল্য দলকে বেশ উজ্জিবীত করবে। এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারই পারেননি বাংলাদেশের জয়ে পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে। অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ দারুণ একটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। তিনি ৬৯ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাজমুল হোসেন শান্তর, তিনি ৩৭ রান করেন ৪৬ বল খেলে। আর অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩৩ রান করেন। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান অপারজিত ২০ রান করেন। 

এর আগে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পেসার মুস্তাফিজুর রহমান দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এই ক্যারিবীয় ব্যাটার তখন রানের খাতা খুলতে পারেননি। 

পরে দলীয় ৩২ রানের মাথায় স্পিনার মেহেদী হাসান সাজ ঘরে ফেরান আরেক ওপেনার কাইল মায়ার্সকে। ২৭ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল, ঠিক তখনই জোড়া আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তাই দলীয় পঞ্চাশ রান পার হতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। শামার ব্রুকস ব্যক্তিগত ৩৩ এবং ব্র্যান্ডন কিং ৮ রান করে এই বাংলাদেশি পেসারের শিকার হন।

পরে আরও দুই উইকেট তুলে নেন তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান। রোভম্যান পাওয়েল (৯) ও নিকোলাস পুরানের (১৮) উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ধস নামান।

কিছুক্ষণ পর শরিফুল আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনংসকে অল্প রানে আটকে দিতে মূল অবদান রাখেন। রোমারিও শেফার্ড (১৫) ও গুদাকেশ মতিকে (৭) আউট করে ব্যক্তিগত চতুর্থ উইকেট তুলে নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। আর শরিফুল পান চার উইকেট ৩৪ রান খরচায়। মুস্তাফিজ পান এক উইকেট।