কনওয়ে-উইলের ব্যাটে নিউজিল্যান্ডের প্রতিরোধ

Looks like you've blocked notifications!
ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : সংগৃহীত

আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৩০৩ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডও। দুই ক্রিকেটার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াংয়ের ব্যাটে চড়ে এজবাস্টনে প্রতিরোধ গড়েছে সফরকারীরা।

গতকাল শুক্রবার দিন শেষে ৩ উইকেটে ২২৯ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। দিন শেষে ৪৬ রানে উইকেটে ছিলেন রস টেইলর। ৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে আজ শনিবার দ্বিতীয় দিন শুরু করবে নিউজিল্যান্ড।  

এই রান তুলতে বড় ভূমিকা ছিল কনওয়ে ও উইলের। কিন্তু, দুজনেই মাঠ ছেড়েছেন হতাশা নিয়ে। সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকা উইল আউট হয়েছেন ৮২ রানে। ২০৪ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি।

অন্যদিকে, প্রথম টেস্টে অভিষেক ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়া কনওয়েও হাঁটছিলেন নতুন রেকর্ডের পথে। কিন্তু কাছাকাছি গিয়েও পারলেন না তিন অঙ্ক ছুঁতে। সেঞ্চুরি থেকে ২০ রান দূরে থেকে আউট হয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১৪৩ বলে ১২টি বাউন্ডারিতে ৮০ রান করেছেন তিনি।

এর আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৩০৩ রানে থামে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ করে রান করেন ররি বার্নস ও ড্যান লরেন্স। যদিও ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার ররি বার্নস ও ডম সিবলির ব্যাটে ভালো শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। শুরুর জুটিতে ৭১ রান তুলেছিলেন দুজন। কিন্তু, ওপেনার সিবলি ফিরলে ছন্দ হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। একে একে ফিরতে থাকেন বাকিরা। সতীর্থদের ফেরার মধ্যে লড়াই করেছেন বার্নস ও ড্যান লরেন্স। তাঁদের দৃঢ়তায় তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় ইংলিশরা।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে রেকর্ড গড়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। এজবাস্টনে ম্যাচটি খেলতে নেমেই ইংলিশদের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। এর আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন অ্যালেস্টার কুক। দুজনেই এখন ইংলিশদের হয়ে সর্বাধিক ১৬১টি ম্যাচ খেলেছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : (আগের দিন ২৫৮/৭) ১০১ ওভারে ৩০৩ (লরেন্স ৮১*, উড ৪১, ব্রড ০, অ্যান্ডারসন ৪; বোল্ট ২৯-৬-৮৫-৪, হেনরি ২৬-৭-৭৮-৩, ওয়্যাগনার ২১-৬-৬৮-১, মিচেল ১১-২-২৩-০, এজাজ ১৪-৪-৩৪-২)।

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৭৬.৩ ওভারে ২২৯/৩ (ল্যাথাম ৬, কনওয়ে ৮০, ইয়াং ৮২, টেইলর ৪৬*; অ্যান্ডারসন ১৮-৫-৪৫-০, ব্রড ১৫-৫-২২-২, উড ১৪-০-৪৩-০, স্টোন ১৫-৪-৫৮-০, রুট ১৩-৩-৩৯-০, লরেন্স ১.৩-০-৮-১)।