কষ্টের জয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামকে বিদায় করে প্লে-অফে রংপুর

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা ও রংপুরের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : বিসিবি

বিদায়ের সুর বেজেছে বিপিএলে। একে একে বিদায় নিচ্ছে দলগুলো। প্রথম দল হিসেবে বিদায় নেয় তামিমের খুলনা। এবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিদায় নিশ্চিত করল রংপুর রাইডার্স। নাসিরের ঢাকাকে ২ উইকেটে হারিয়েছে সোহানের রংপুর।

আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৩০ রানের বেশি তুলতে পারেনি ঢাকা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করে আরিফুল হক। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় রংপুর।

এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল রংপুর রাইডার্স। তৃতীয় দল হিসেবে ইতোমধ্যেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সাকিবের বরিশাল। আর সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করা মাশরাফির সিলেট ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের শীর্ষে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। রংপুরের বোলারদের তোপে মাত্র ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নাসিরের দল। অধিনায়ক নাসির ৩ বলে ২ ও ওপেনার সৌম্য ১২ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন দুই ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন ও অ্যালেক্স ব্লেইক। রান আউটের ফাঁদে পড়ে মিঠুন ২ বলে ৫ ও হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্লেইক ১১ বলে ১৮ রান করে মাঠ ছাড়েন।

৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটফুটে চলে যাওয়া ঢাকাকে টেনে তোলার দায়িত্বটা নেন ব্যাটার আবদুল্লাহ আল মামুন ও আরিফুল হক। যদিও এই দুই ব্যটারও ক্রিজে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। মেহেদি হাসানের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আবদুল্লাহ। ফিরে যান ২৭ বলে ২৩ রান করে।

তেমন কেউ সুবিধা করতে না পারায় ১৩০ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন আরিফুল হক। রংপুরের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই নিয়েছেন দুটি উইকেট। 

এ ছাড়াও মেহেদি হাসান, হারিস রউফ, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ যথাক্রমে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকার মতো শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে রংপুর। পরে অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ব্যাটার রনি তালুকদার। এই দুজনের পার্টনারশিপে ভর করে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে রংপুর। বারবার বোলার পরিবর্তন করেও কোনো ভাবেই এই জুটি ভাঙতে পারছিল না ঢাকা।

অবশেষে ১০২ রানে রনিকে ফেরান ঢাকার অধিনায়ক নাসির। তবে, এর আগেই সোহান-রনির ৯৩ রানের জুটি জয়ের পথটা অনেকটাই সহজ করে দেয় রংপুরের। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে সাজঘরে ফেরেন রনি। আর রনির বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি সোহান। ৩৩ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।

এরপরই পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। নাসির-শরিফুলরা একের পর এক উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেয় রংপুরকে। তবে, সেই চাপ সামাল দিয়ে রউফ-ওমরজাইদের ব্যাটে ৩ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে রংপুর।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর রাইডার্স : ১৯.৩ ওভারে ১৩৩/৮ (নাইম ০, রনি ৩৪, মেহেদি ৪, সোহান ৬১, মালিক ৭, নেওয়াজ ১, ওমরজাই ৭*, শামিম ৮, রকিবুল ০, হারিস ৭* ; শরিফুল ৪-১-১৮-৩, সানি ৪-০-২০-০, মোহর ১-০-৯-০, হামজা ৪-০-২৫-১, নাসির ৪-০-২০-৪, সৌম্য ১-০-১৮-০, মুক্তার ১.৩-০-২৩-০)।

ঢাকা ডমিনেটর্স : ২০ ওভারে ১৩০/৮ (সৌম্য ৩, মিঠুন ৫, মামুন ২৩, নাসির ২, ব্লেইক ১৮, আরিফুল ২৯, হামজা ১৫ ; মেহেদি ৪-০-৩০-১, ওমরজাই ৪-০-২২-২, হারিস ৪-০-১৯-১, নেওয়াজ ১-০-১-১, হাসান ৪-০-২৮-১, রকিবুল ৩-০-২৭-০)।

ফল : রংপুর রাইডার্স ২ উইকেটে জয়ী।