ঘরের মাঠে ফাইনাল নিয়ে রোমাঞ্চিত কেইন

Looks like you've blocked notifications!
সতীর্থদের সঙ্গে হ্যারি কেইন। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হৃদয় ভেঙেছিল ইংল্যান্ডের। ফাইনালের এত কাছে গিয়েও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে। তিন বছরের মাথায় ঘুরে ফিরে আরেকটি সেমিফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে ইংলিশরা। প্রথমবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলবে ইংল্যান্ড।

ইউরোপসেরার প্রতিযোগিতার ফাইনাল, তাও আবার নিজেদের মাঠ ওয়েম্বলিতে। নিজেদের ডেরায় ফাইনাল খেলা নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন।  

ওয়েম্বলিতে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় অনুষ্ঠিত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে গ্যারেথ সাউথ গেটের দল। অবশ্য ইংল্যান্ডের দুই গোলের কেবল একটি করেছেন হ্যারি কেইন। আরেকটি ছিল প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী। অন্যদিকে ডেনিশদের হয়ে জালের দেখা পেয়েছেন ড্যামসগার্ড।

দীর্ঘ ৫৫ বছর পর কোনো বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠার রোমাঞ্চ নিয়ে ম্যাচ শেষে কেইন বলেন, ‘অসাধারণ একটি ম্যাচ ছিল। ডেনমার্কের কৃতিত্ব প্রাপ্য। তবে, আমরা লড়ে গেছি এবং প্রয়োজনের সময় গোল করেছি। এখন ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলব—কী একটা দারুণ অনুভূতি!’

ম্যাচটিতে ইংলিশদের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংবাদমাধ্যমে। ম্যাচটির অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে রাহিম স্টার্লিং ডেনমার্কের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ভিএআর প্রযুক্তিতে পেনাল্টি বহাল রাখেন রেফারি। ওই পেনাল্টিই ভাগ্য খুলে দেয় ইংল্যান্ডের। পেনাল্টিতে শট নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ফিরতি শটে ব্যবধান গড়ে দেন কেইন। এখন ওই পেনাল্টি নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।   

যদিও রাহিম স্টার্লিং বলছেন, এটি পেনাল্টিই ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি বক্সে ঢুকেছি, সে তার পা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আমাকে স্পর্শ করেছে। কাজেই এটা পেনাল্টিই ছিল। আমাদের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। অনেক লড়াই করতে হয়েছে, টুর্নামেন্টে প্রথমবার আমরা আগে গোল হজম করেছি। তবে গুছিয়ে উঠে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং দুর্দান্ত টিম স্পিরিটের ছাপ রেখেছি। আমাদের স্রেফ ধৈর্য রাখতে হতো। কারণ জানতাম, যে আগ্রাসন, গতি ও সামর্থ্য আছে আমাদের, ওদের বাগে পাওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার এবং শেষ পর্যন্ত ওই পেনাল্টি আমরা পেয়েছি।’