ছন্দ ধরে রাখার মিশনে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
 বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। ছবি : বিসিবি

সিরিজের শুরুটা স্বপ্নের মতো করেছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ জিতেছে ২৩ রানে। প্রথম ম্যাচে জয়ের উচ্ছ্বাস শেষ না হতেই আজ বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। করোনাকালীন এই সিরিজটিও মাঠে বসে বসে উপভোগ করতে পারছেন না ক্রিকেটভক্তরা। বরাবরের মতো খেলা দেখতে হচ্ছে টিভি পর্দায় কিংবা অনলাইন মাধ্যমে। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করছে ক্রীড়াভিত্তিক চ্যানেল টি-স্পোর্টস, গাজী টিভি ও বাংলাদেশ টেলিভিশন। এ ছাড়া অনলাইনে খেলাগুলো দেখা যাচ্ছে র‍্যাবিটহোলস্পোর্টসে।

গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দেওয়া ১৩২ রান তাড়া করতেই নাস্তানাবুদ হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন নাসুম আহমেদ। দারুণ বোলিং করে ভূমিকা রাখেন সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান, শরিফুলরা।

মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটে স্পিনের সামনে ব্যাকফুটে ছিলেন মিচেল মার্শ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অন্য ব্যাটসম্যানরা। মার্শই শুধু রানের দেখা পান। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।

প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে অসিরা। অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড জানালেন তেমনটাই, 'আমাদের সাহসী হতে হবে এবং পরিকল্পনায় অটুট থাকতে হবে। নিজের মতো করে খেলার সাহস রাখতে হবে। তবে ছোট স্কোর তাড়া করার সময় সাহসী হওয়া ও স্মার্ট হওয়ার মধ্যে একটু পার্থক্য আছে। ছেলেরা এখানে খুব বেশি খেলেনি। উইকেটে গিয়ে ১০-১৫ বল কাটানো জরুরি এবং সামনে এগোনোর পথে গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ও পাঁচ ম্যাচের সিরিজে খোলসে ঢুকে যাওয়া চলবে না। পরের ম্যাচে এবং পরেও একই বোলারদের খেলতে। একটা উপায় বের করতে হবে, যা কাজে দেয়।'

অসি অধিনায়ক আরও বলেন, 'অবশ্যই এটা চ্যালেঞ্জের এবং পরের ম্যাচে আমাদের জবাব দিতে হবে। আশা করি সামান্য যে সময়টুকু উইকেটে কাটানো গেছে (প্রথম ম্যাচে), সেখান থেকেই বুঝে নিয়ে রান করার পথ খুঁজে নেবে সবাই।'

অন্যদিকে বাংলাদেশও চায় জয় ধরে রাখতে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'এই জয়ে আমরা এখনই ভেসে যাচ্ছি না। আমরা জিতেছি, এটা এখানেই শেষ হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজন পরের ম্যাচে মনোযোগ দেওয়া। এই ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, নিশ্চিত করা। প্রথম বল থেকে সেরাটা দেওয়া। পা মাটিতে রেখে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়া।’