জাতীয় দলে জায়গা হারানোর শঙ্কা উড়িয়ে নায়ক রোনালদো 

Looks like you've blocked notifications!
রেকর্ড গড়ার রাতে জোড়া গোল করলেন রোনালদো। ছবি : ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ফেসবুক পেজ থেকে।

পর্তুগালের জাতীয় দলে কিছুদিন আগেও অনিশ্চিত ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শঙ্কার কালো মেঘ কাটিয়ে দলে ফিরলেন আল নাসের তারকা। জায়গা হারানোর শঙ্কা দূর করে জোড়া গোল করে উল্টো ম্যাচের নায়ক বনে গেলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। 

ইউরো বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাতে লিচেইনস্টেইনের বিপক্ষে মাঠে নেমে রোনালদো করলেন জোড়া গোল। তাতে পর্তুগাল পেল ৪-০ গোলের জয়। এদিন রোনালদো মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই গড়েছেন নতুন এক রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার একক রেকর্ড এখন সিআরসেভেনের। 

কুয়েতের বায়ের আল মুতাওয়ার সঙ্গে এতদিন ১৯৬ ম্যাচ নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন রোনালদো। পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্তাদিও হোসে আলাভালাদা স্টেডিয়ামে মাঠে নেমে তাকে ছাড়িয়ে যান রোনালদো। ১৯৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে সবার উপরে এখন পর্তুগিজ সুপারস্টার।

রেকর্ড গড়ার রাতে রোনালদো যেন ফিরে গেছেন পুরনো দিনে। শুরুতেই আক্রমণে আসেন তিনি। যদিও তার করা পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় দল। তবে, ৮ মিনিটের সময় জোয়াও ক্যান্সেলোর গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। এক গোলে এগিয়ে থেকে একের পর এক আক্রমণ শাণায় পর্তুগিজরা। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি তারা। 

বিরতি থেকে ফিরে ৪৭ মিনিটে বের্নাদো সিলভার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পর্তুগিজরা। ৫১ মিনিটে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি রোনালদো। ৬৩ মিনিটে দলের পক্ষে চতুর্থ ও ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন পর্তুগিজ অধিনায়ক।

এমন ম্যাচে পাত্তাই পায়নি লিচেইনস্টেইন। প্রতিপক্ষের জালে মোট ৩৫টি শট নেয় পর্তুগাল, যার ১১টি অন টার্গেট। কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন রোনালদো নিজেও। খেলার ৮৩ ভাগ সময় বল ছিল পর্তুগালের দখলে।

সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার গৌরব এবং ঘরের মাঠে জয় দিয়ে ইউরো বাছাইপর্ব শুরু করতে পেরে ম্যাচশেষে রোনালদো বলেন, ‘জাতীয় দলের জন্য এবং আমার জন্য এটি একটি বিশেষ অর্জন। গোল করতে পেরে ভালো লাগছে। সর্বকালের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড করতে পেরে গর্ববোধ হচ্ছে।’

সহজ জয় পেয়েছে পর্তুগাল। তারচেয়ে বড় কথা দলের প্রাণভোমরা রোনালদো আবার আগের মতো উপভোগ করছেন খেলাটিকে। নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ এসে হাসি ফুটিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী রোনালদোর মুখে। এমন হাসিমুখের রোনালদোকেই দেখতে চান ভক্তরা। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে হেরে কান্নায় ভেঙে পড়া রোনালদোকে দেখে অভ্যস্ত ছিল না কেউই।