জিতলেই রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই। ছবি : সংগৃহীত

মধ্যাহ্নভোজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ২৩ মিনিট ব্যাট করতে পেরেছে। তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান মিলে ২৯ বলেই ক্যারিবীয়দের গুটিয়ে দিয়েছে। ১৯ রানে চার উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমেছে ১১৭ রানে, তারা ২৩০ রানের লিড নিয়েছে। অবশ্য এই রান টপকে জিততে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। 

নিজেদের মাটিতে সর্বোচ্চ ১০১ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। সেটি ছিল ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে ২৩১ রান তাড়া করে জিততে হবে স্বাগতিকদের।

অবশ্য এই জয়ে বাংলাদেশের প্রেরণা হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজই। কারণ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করা জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেটা ২০০৯ সালে ক্যারিবীয়দের মাটিতে। ওই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে চতুর্থ ইনিংসে ২১৫ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার নিজেদের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ে জিততে পারে কি না সেটাই দেখার।

আজ চতুর্থ দিনের শুরুটা রাঙিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। পরপর তুলে নিয়েছেন ক্যারিবীয়দের গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট। দিনের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে জোমেল ওয়ারিকানকে এলবির ফাঁদে ফেলেন রাহি। ওয়ারিকান ফেরার পর ক্যারিবীয়দের সফল জুটি বোনার ও কাইল মায়ার্সের জুটিও টিকতে দেননি তিনি। মায়ার্সকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন এই পেসার।

রাহির পর উইকেট উৎসবে যোগ দেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিবীয়দের ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন তিনি। ফেরান জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে। দুই বোলার মিলে প্রথম ১৪ ওভারে ক্যারিবীয়দের তিন উইকেট তুলে নেন।

দ্বিতীয় সেশনে যেন পাখা মেলেন স্পিনাররা। দ্বিতীয় সেশেনে ২৩ মিনিটের মধ্যে ক্যারিবীয়দের চার উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতির পরপর শুরুতে জোড়া উইকেট তুলে নেন তাইজুল। এরপর শেষ দুজনকে ফিরিয়ে ১১৭ রানে অতিথিদের অলআউট করেন নাঈম হাসান।