ট্রান্সফার বাজারে চেলসির খরচ দেখে অবাক গার্দিওলা

Looks like you've blocked notifications!
পেপ গার্দিওলা। ছবি : রয়টার্স

জানুয়ারি মাসে ট্রান্সফার বাজারে রীতিমতো ঝড় তুলেছে চেলসি। শুধু তারকা ফুটবলারদের শুধু দলে ভেড়ানো নয়, অর্থ খরচের দিক দিয়েও গড়েছে নতুন রেকর্ড। রেকর্ড দামে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তরুণ এনজো ফার্নান্দেজকে কেনার পাশাপাশি ব্যাপক অর্থ ঢেলেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। বিষয়টিতে খুব অবাক হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাকে। কেননা, দলবদলের বাজারে ব্যাপক অর্থ খরচ করে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিল তাঁর ক্লাব সিটি।

গতমাসের দলবদলে সবমিলিয়ে ৭ জন ফুটবলারকে দলে ভিড়িয়েছে চেলসি। যার মধ্যে অন্যতম আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফার্নান্দেজ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার তথ্যানুসারে, ১০৬.৭ মিলিয়ন পাউন্ডসে এই আর্জেন্টাইন তারকাকে কিনেছে চেলসি। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমান প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা। দলবদলে প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবের এটাই সবচেয়ে বেশি খরচের রেকর্ড।

ব্যায়ের দিক দিয়ে ফার্নান্দেজের পরের অবস্থানেই আছেন, ইউক্রেনীয় ফুটবলার মিখাইলো মুদ্রিক। শাখতার দোনেস্ক তারকাকে দলে ভেড়াতে চেলসির খরচ হয়েছে ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ড। মোনাকে সেন্টারব্যাক বেনোয়া বাদিয়াজিলকে ৩২.৭৬ মিলিয়ন পাউন্ডসে দলে নিয়েছে চেলসি। ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ দলের ফুটবলার মালো গুস্তোকে ২৬.৩ মিলিয়ন পাউন্ডসে দলে নিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। এ ছাড়া জোয়াও ফেলিক্সকেও দলে নিয়েছে চেলসি। নিয়েছে আইভেরিয়ান ফুটবলার ডেভিড ফোফানা ও ব্রাজিলিয়ান তরুণ মিডফিল্ডার আন্দ্রে সান্তোসকে। সবমিলিয়ে জানুয়ারির দলবদলে চেলসির খরচ ২৮৩.৬৬ মিলিয়ন পাউন্ডসের বেশি।

চেলসির এই খরচ অবাক করেছে অনেককেই। এবার সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সিটির কোচ। কেননা, অতীতে খেলোয়াড় কিনতে বিপুল অর্থ ব্যয় করায় ম্যানচেস্টার সিটিকেও ব্যাপক সমালোচনা ও তদন্তের মুখে পড়তে হয়েছিল।

ইএসপিএন ফুটবলের প্রতিবেদন অনুসারে ওই প্রসঙ্গ টেনে গার্দিওলা বলেছেন, ‘অতীত ভুলে যাইনি। আমরা অভিযুক্ত (খেলোয়াড় কিনতে ব্যাপক অর্থ খরচ করে) হয়েছিলাম। আট-নয়টা দল প্রিমিয়ার লিগ থেকে আমাদের নিষিদ্ধ করতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল। যদিও এটা (চেলসির বিপুল অর্থ ব্যয়) আমার ভাবনার বিষয় নয়। আমি কখনো অন্য ক্লাব নিয়ে মতামত জানাই না। তবে আমি অবাক হয়েছি। কারণ, এটা (চেলসি) কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ক্লাব নয়। গত পাঁচ বছরে আমরা ১১টি ট্রফি জিতেছি। প্রিমিয়ার লিগে সামগ্রিকভাবে খরচের তালিকায় পাঁচে বা ছয়ে আছি। এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। শুধু প্রিমিয়ার লিগে নয়, ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও প্রচুর খরচ করা হয়। এখনকার দলবদলের বাজারটাই এ রকম।’